দেওয়ানগঞ্জে মৃত লাশ রক্ষায় লোহার খাচার ব্যবহার শুরু

খাদেমুল ইসলাম : মৃত ব্যক্তিকে জানাযা শেষে কবরস্থানে কবর দিয়ে লাশ অটুক রাখার স্বার্থে লৌহ খাচার ব্যবহার শুরু হয়েছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে। করবস্থান পরিদর্শন, কবরস্থান রক্ষনা-বেক্ষন কমিটি ও মৃত ব্যক্তিদের সজনদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা সহ ৮ ইউনিয়ন যথাক্রমে দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতীভাঙ্গা, পাররামরামপুর, চর আমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে শিয়াল সহ অন্যসব নেশাচর মাংশাসী জীবজন্তু কবরস্থানে ও তার আশেপাশে ঝোপ জঙ্গলে অধিক দেখা যায়। কোনো মানুষের মৃত্যু হলে, কবরস্থানে কবর দেবার পর রাতে নখের আচড়ে কবর খুড়ে লাশ টেনে বের করে তা ভক্ষণ করে। মৃত দেহের অধিকাংশ খেয়ে ফেলে অন্যসব অংশ রাস্তা ঘাট ও যত্রতত্র ফেলে যাওয়ায় বিকট দুর্গন্ধে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। দূষিত হয় পরিবেশ। ব্যক্তি ও পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃত লাশ তোলা ছাড়াও সরকারি বেসরকারি কবরস্থান থেকেও লাশ টেনে বের করে ওরা। এ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ বাঁশ বা খড়ের বেড়া বেষ্টন করে দেন কবরের চারিধারে। কেউ কেউ জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে কবর। আবার কেউ লাশ রক্ষায় পাহাড়া বসায়। এতে বিশেষ কাজ না হওয়ায় এখন লোহার খাচা কবরের উপর বসিয়ে দিতে শুরু করেছে অনেকে। খাচা তৈরিতে বেশি খরচ লাগায় অনেকে তা পারছে না। এ দিকে লক্ষ করে, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উঃ কালিকাপুর গ্রামের সমাজসেবক মঞ্জুরুল হক বেশ ক’টি লোহার খাচা নিজ খরচে তৈরি করে দিয়েছেন অনেক কবরস্থানে। যার ব্যবহার চলছে। ক’দিন আগে চিকাজানী গ্রামের বাবু মিয়া মারা গেলে তার কবরের উপর লোহার খাঁচা বসিয়ে দেওয়া হয়। যাতে শেয়াল লাশ বের করতে না পারে। লোহার খাচার ব্যবহারে বেশ সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান, পৌরসভার সাবেক মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আঃ ছালাম খোকা, আবু মিয়া, ছাবু মিয়া, খোকন মিয়া সহ অন্যান্যরা জানান, লোহার খাচার ব্যবহার শুরু হওয়ায় বেশ সুফল পাওয়া যাচ্ছে।