প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে দেশে। এর মধ্যও যথাসময়ে বাজেট দেওয়া হবে এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ৬ তারিখে বাজেট দেব। বাজেট আমরা ঠিকমতো দিতে পারব, বাস্তবায়নও করব। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে, সেটা পরবর্তী সময়ে উত্তরণ করতে পারব, সে আত্মবিশ্বাসও আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অর্থনীতিবিদ নই, তবে বুঝি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে যেন চলতে পারে সেটাই লক্ষ্য। বর্তমানে গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী করা হচ্ছে। সেখানকার মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা এবং স্যাংশন পাল্টা স্যাংশনের কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা ক্ষমতা ও ভোগ দখল নিয়ে ব্যবস্থা ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিয়েও ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কেন বাসন্তীদের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারিনি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বাইরে থেকে হঠাৎ এসে দেওয়া উপদেশ নয়, অর্থনীতিবিদের বৈশ্বিক জ্ঞান আহরণ করে এ দেশের উন্নয়নে মেধা, বিবেক ও অর্জিত অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ প্রয়োগের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির ছাত্র না হয়েও তিনি জাতির পিতার দেখানোর পথ ধরেই রাজনীতি, রাষ্ট্রপরিচালনা ও অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছেন।