স্টাফ রিপোর্টার : মোঃ আলামিন ( ৪৫)। পিতা মৃত বজলুর রহমান। গ্রাম পূবাইল, জেলা টাঙ্গাইল। নিজের গ্রামে সে একজন ব্যবসায়ী। সবাই তাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানে। কিন্তু, আদতে সে একজন চোর। নিজ গ্রামের বাইরে জেলা উপজেলায় ঘুরে ঘুরে সে নানা পরিচয়ে, নানা বেশে অটোরিকশা চুরি করে।
বুধবার, জামালপুর- শেরপুর ব্রিজ থেকে তাকে আটক করে এলাকাবাসী। তারপর তাকে জামালপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয় ধৃত ব্যক্তি একজন পেশাদার চোর। অতঃপর পরেরদিন বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সৌপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই কয়েকটি চোরাচক্র নানা কৌশলে জামালপুর থেকে অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। থানা পুলিশসহ খোঁজাখুঁজি করেও সেসব রিকশার উদ্ধার বা হদিস মিলছে না।
এরই ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকার পাথালিয়া গ্রামের কামাল হোসেন ও হযরত শাহ জামাল স্কুল এণ্ড কলেজের দপ্তরি কামরুলের তিনটি অটোরিকশা চুরি হয়েছে। তারা দুইজনেই থানা পুলিশসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের চুরি হওয়া রিকশা উদ্ধার করতে পারেনি।
এরইমধ্যে অটোরিকশা চোরাচক্রের একজন আলামিন পুলিশের হাতে আটক হলে খবর পেয়ে কামরুল তার রিকশার চালক নিয়ে থানায় যায়। থানায় গিয়ে ধৃত ব্যক্তিকে দেখে চিনতে পারে কামরুলের চালক। চালকের মতে, এই-ই সেই চোর যে যাত্রী সেজে তার রিকশায় উঠেছিল ও তাকে একটি বাক্স আনতে পাঠিয়েছিল। পরে সে দেখে তার রিকশাও নেই, সেই যাত্রীও নেই!
চুরি যাওয়া রিকশার মালিক ও চালকদের বিশ্বাস , চোর আলামিনের সাথে আরও অনেক জড়িত রয়েছে। তার মাধ্যমে বাকিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।