দেওয়ানগঞ্জে বোরো উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও মনে শান্তি নেই কৃষকের

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বোরো মৌসুমের আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২০/২৫ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এবারে আবাদে খরচ হয়েছে বেশি। বৃষ্টি কম হওয়ায় ক্ষেতে সেচের পানি দিতে হয়েছে অধিক । এছাড়া বীজ, বিষ, সার, সেচ, পরিবহন ও শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১৮/২০ হাজার টাকা। এলাকার কৃষক ছানোয়ার, বাবলু, বাচ্চাগেল্লা, সাইদ, ছামাদ, ছাত্তার দুলু সহ অনেকে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বোরো আবাদে এবার অধিক খরচ হয়েছে। বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে ১ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১১শত টাকায়। আশা ছিল যেহেতু এবার ধানের আবাদ ভালো হয়েছে, ধান কেটে ভালো দামে বিক্রি করে ধার দেনা শোধ সংসারের অনেক ক্ষেত্রে ব্যয় টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারসাদি, বাজারে ধানের মূল্য কম হওয়ায় এবং সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে না পারায় আমরা নানা সমস্যায় পড়েছি। সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু না হওয়ায় ধানের ন্যায্য মূল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রধান খাদ্য গোডাউন কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি নয়াদিগন্ত কে জানান, সরকারি নির্দেশনায় ধান ক্রয় ইতিপূর্বে উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ক্রয় করা হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ আলমগীর আজাদ নয়াদিগন্তকে জানান, এবারে পৌরসভা সহ ৮ ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এক উত্তরে তিনি জানান, ধান ক্রয় উদ্বোধন করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ক্রয় করা হচ্ছে না। এতে করে কৃষকরা ধান বিক্রিতে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অনেক কৃষক তাকে জানিয়েছেন।