ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রোববারের মধ্যে পত্রপত্রিকায় যে তথ্য আসছে সেগুলো সঠিক কিনা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জেগে থেকে মনিটরিং করেছেন বলেও জানান। সেই সঙ্গে তিনি প্রত্যেক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবস্থাপনা নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এছাড়া দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো সংস্কারেরও নির্দেশ দিয়েছেন। ঝড়ের কারণে ল্যান্ডফোনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা রেমালে ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব সামনে এসেছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশ দেন তিনি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস ছালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকতারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দুর্গতদের পাশে থাকতে বলেছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের গতানুগতিক অবস্থার বাইরে এসে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডিজিটালভাবে দুটি প্রকল্প উপস্থাপন সম্পর্কে বলা হয়, পিপিএসের মাধ্যমে আজ একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। এর কারণে ডিপিপি করতে যে বেশি কাগজপত্র দরকার হতো তা লাগবে না। এটি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকদের জন্য নেওয়া প্রকল্প দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। এখানে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে এই পদ্ধতিতে কাজ করা হয়। এতে করে অনেক কাজ সহজ হয়ে পড়বে। সচিব জানান, এ প্রকল্পে ১২টি প্রকল্প রয়েছে। গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে বলেছেন সরকার প্রধান।