রৌমারী সংবাদদাতা : রৌমরী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ও চরশৌলমারী ইউনিয়নের মাঝামাঝি আমবাড়ি ও কাজাইকাটা গ্রামে হলহলিয়া নদীর উপর স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন প্রকার ব্রীজ না থকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ২০০ ফুট লম্বা গ্রামবাসির প্রচেষ্টায় ও নিজ খরচে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো উদ্বোধন করলো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এ নদীর উপর দিয়ে দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী ও উলিপুর উপজেলার পুর্বঞ্চলের প্রায় ২৫টি গ্রামের ৬০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। একটি ব্রীজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু বার এমপি মন্ত্রীদেরকে আবেদন নিবেদন করা হলেও দাবী পুরন হয়নি। শত কষ্ঠের মধ্যদিয়ে ৫ জুন বুধবার বিকাল ৪ টায় রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে হলহলিয়া নদীর উপর এই সাঁকো উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইচ চেয়ারম্যান সামছুল দোহা, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, স্থানীয় নেতা রোকনুজ্জামান রোকন, আব্দুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও গ্রামের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
আলোচনা সভায় স্থানীয় ভাবে বক্তব্য রাখেন, বক্তার হোসেন, ইমান আলী, মোল্লা জমির উদ্দিন, সুজন আহমেদ, মমিনুল হক প্রমুখ।
স্থানীয় লোকজন জানান, বহুকাল থেকে এ দুটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। প্রতি বছর এ নদীতে সরকারি ভাবে ঘাট, নিলাম ডাকে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করা হতো। এতে স্কুল পড়–য়া কমলমতি শিশুসহ স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবিদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কোন ফসলাদি বাজারে নিয়ে যাওয়া যেতো না। আমরা বারবার এমপি মন্ত্রীদের কাছে একটি ব্রীজের জন্য আবেদন নিবেদন করেছি। কোন সারা পাইনি। শুধু আশ্বাস দিয়ে ভোট নিয়ে গেছে। আর ফিরে তাকায় নি। আজ আমরা গ্রামবাসীর উদ্দ্যোগ নিয়ে নিজেরা টাকা, বাঁশ সংগ্রহ করে সহজে চলাচলের জন্য বাঁশের সাকো নির্মান করেছি। তবে প্রত্যন্ত এ অঞ্চলের মানুষের সরকারের কাছে দাবী, এ নদীর উপর দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মান।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু জানান, বহুকাল থেকে এই নদীতে একমাত্র যাতায়াতের ভরসা ছিল সরকারি ভাবে নিলামকৃত ঘাটের নৌকা। প্রতিদিন মানুষকে ৫/১০ টাকা দিয়ে নৌকা পাড়া পাড় হতে হতো এবং ভ্যান গাড়িদেরকে দিতে হতো ২০/৩০ টাকা। এবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলে ঘাটের নিলাম ডাক বন্ধ করে দিয়ে গ্রামবাসীর উদ্দ্যোগে নিজ খরচে এ বাঁশের সাকোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সাকো দিয়ে দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী ও উলিপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৬০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা এ সাকোটি। আমি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি, যথা সাধ্য চেষ্টা করে যাবো, আমার আগামী ৫ বছর সমায়ের মধ্যে এখানে একটি পুর্নাঙ্গ ব্রীজ নির্মান করা। আমার জন্য দোয়া করবেন।