টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সুপার এইট নিশ্চিত করা। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জয়ের ফলে সে কাজ অবশ্য ভালোভাবেই সম্ভব হয়েছে। এবার সুপার এইটে যা জিতবে তা হলো নাজমুল হোসেন শান্তদের জন্য বোনাস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন শিষ্যদের।
তার আগে অবশ্য এতদূর আসার পেছনে বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন টাইগারদের প্রধান কোচ, ‘আমরা যখন এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসি, আমাদের লক্ষ্য ছিল সুপার এইট। তো আমি মনে করি সেটি আমরা দারুণভাবে (করেছি), বোলাররা আমাদের খেলায় টিকিয়ে রেখেছে। কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং নিজেদের পক্ষে কন্ডিশন কাজে লাগাতে পেরেছি।’
সুপার এইটে শিষ্যদের স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে বললেন হাথুরু, ‘সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য বিষয়টা হলো, আমরা এখানে আসতে পেরে খুশি। আর এখান থেকে যা কিছু পাব, তা–ই আমাদের জন্য বোনাস। সেজন্য আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব এবং তিন দলের প্রতিটিকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।’
একইসঙ্গে ক্রিকেটারদের উপভোগ করারও সুযোগ দিচ্ছেন হাথুরু। তবে যা খুশি তা করা যাবে না সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি কেন? উপভোগ করার জন্য। তাই উপভোগের সুযোগটি আমরা ক্রিকেটারদের থেকে ছিনিয়ে নিতে চাই না। তবে এর মানে এমন না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে দলের প্রতি।’
‘অবশ্যই স্বাধীনতা আছে, দেশ-ক্লাব এমনকি পার্ক ক্রিকেটে খেলার সময়ও উপভোগের বিষয়টি থাকে। এজন্যই আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। তাই উপভোগের মন্ত্র সবসময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে’, আরও যোগ করেন হাথুরু।
আগামীকাল (শুক্রবার) সুপার এইট পর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায়। মিচেল মার্শের দল গ্রুপপর্বে অপরাজেয়, তারা নিশ্চিতভাবেই তাই যেকোনো ম্যাচেই ফেবারিট। দলগতভাবে দক্ষ এবং ভারসাম্যপূর্ণ দলটিকে হারাতে হলে বোলিং-ব্যাটিং উভয় দিক থেকেই ভালো পারফর্ম করতে হবে বাংলাদেশের।