জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কোরবানি ঈদের দিন কৃষক আসাদ উল্লাহ ওরফে নিদু কাজীকে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজীবাড়ী বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনের পর কাজী বাজার-সাহেব বাজার সড়কের বিক্ষোভ মিছিল করেন আয়োজকরা। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত নিদু কাজীর বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন কাজী, নিহতের প্রথম স্ত্রী ফেলানি বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী নুরহাজান বেগম, ছেলে ছামিউল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ কাজী। এ সময় সবাই নিদু কাজীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য. গত সোমবার (১৭ জুন) কোরবানি ঈদের দিন বিকেল ৩টার দিকে ইউনিয়নের তারতাপাড়া গ্রামের জায়েদা মোড় এলাকায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে নিদু কাজীকে গুরুতর জখম করে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক কবির হাসান চায়নাসহ তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় নিদু কাজীকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই রাতে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার নিদু কাজীর বড় ভাই এবং আওয়ামী সিনিয়র সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন কাজী। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার নলকা এলাকা থেকে কবির হাসান চায়না ও তার ছোট ভাই জিয়াউল মণ্ডল জিয়াকে আটক করে র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।
এর আগে সোমবার রাতে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদারের নেতৃত্বে রাতে অভিযান চালিয়ে চায়নার ভাতিজা মোখলেসকে আটক করা হয়। ১৮ জুন বিকেলে ইসলামপুর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।