এমন একটা পৃথিবী কী আপনি কল্পনা করেন—যেখানে থাকবে না কোনো স্মার্টফোন! সিনেমার পর্দায় এমন অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই দেখা যায়, যা পরবর্তীতে বাস্তব দুনিয়াতে মেলে। এবারও তাই হতে যাচ্ছে, ভবিষ্যতের পৃথিবীতে থাকবে না স্মার্টফোন! নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে আসছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
জানা গেছে, নিউরালিঙ্ক চিপ ও ইন্টারফেস আনছেন ইলন মাস্ক। এটি মানুষের মস্তিষ্কে বসানো হবে। তা দিয়েই স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
সম্প্রতি এক্স প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন টেসলা প্রধান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের পৃথিবী থেকে উধাও হবে সমস্ত স্মার্টফোন।
আরও জানা গেছে, হাতে হাতে মুঠোফোন, রাস্তায় চলার সময় বেশিরভাগ পথচারীরই মাথা হেঁট থাকে। তবে এবার মাথা সোজা রেখে চলার দিন আসছে। এই প্রযুক্তির নাম নিউরালিঙ্ক চিপ, যা ইতোমধ্যে সফলভাবে মানুষের মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে। মস্তিষ্ক থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে সবকিছু। ফোনে যা যা করা হয়, তা এই চিপের সাহায্যেই হয়ে যাবে।
ইলন মাস্কের নতুন প্রযুক্তি
নিউরালিঙ্ক কোম্পানির সিইও তিনি, এই কোম্পানি ব্রেন চিপ প্রযুক্তির উপর কাজ শুরু করেছে। এতদিন সায়েন্স ফিকশন ছবিগুলিতে যা দেখা গেছে, তা এবার বাস্তবে করতে চলেছেন তিনি। যদিও ইতোমধ্যে সফল একটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছে নিউরালিঙ্ক। এদিন এক্স প্ল্যাটফর্মে নিজের একটি এআই জেনারেটেড ছবি পোস্ট করছেন তিনি।
ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ফোনের মতো মস্তিষ্ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হবে সবকিছু। এই পোস্টে তিনি নিউরালিঙ্ক ইন্টারফেস এবং এক্স ফোনের কথা বলেছেন। অর্থাৎ আগামীদিনে এই সংক্রান্ত কিছু করার পরিকল্পনা, তার থাকলেও থাকতে পারে। এমনিতে খামখেয়ালি মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় থাকেন ইলন মাস্ক।
তিনি বলেন, ইউজার এবার থেকে ভাবনা দিয়েই স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আরও একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ফোনের দরকার পড়বে না। আপনি শুধু নিউরালিঙ্ক দেখতে পাবেন।
নিউরালিঙ্ক প্রযুক্তি কী?
নিউরালিঙ্ক হলো একরকম রোবোটিক প্রযুক্তি যা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। যেহেতু এটি একটি চিপ, তাই ভাবনা দিয়েই স্মার্টফোন, ট্যাব এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস উপায়ে ডেটা সরবরাহ হবে। ঠিক যেমন ওয়্যারলেস ইয়ারফোনে গান শোনা হয়। ভবিষ্যতে এরকমই একটি ডিভাইস ইনস্টল করা হবে মস্তিষ্কে, যা আরও বেশি উন্নত হবে এবং সেটি দুনিয়া থেকে মোবাইল ফোন মুছে ফেলবে।
এদিকে ইলন মাস্কের এই প্রস্তাবে কেউ খুশি আবার কেউ হাসি-ঠাট্টা করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন মস্তিষ্কে অপারেশন করার চেয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করাই ভালো।