রশীদুল আলম শিকদার : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আলিম মাদরাসার ভবনের উপর ভেঙে পড়েছে মেহগনি গাছ। দ্রুত সময়ে কেটে ফেলা না হলে ঝুঁকি মাথায় নিয়ে আতংকের মধ্যেই ক্লাস করতে হবে শিক্ষার্থীদের। একইভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছটি কেটে ফেলা না হলে শিক্ষার্থীদের উপরে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১নং ডাংধরা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাঘারচর ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসাটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মাদরাসাটি এরপর ১৯৮৬ সালে এমপিওভুক্ত হয়। আর এই মাদরাসাটির গা ঘেষেই নড়বড়ে অবস্থায় দাড়িয়ে আছে আরো কয়েকটি মেহগনি গাছ ও মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে দোচালা বিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর। ঝরে টিনশেড ঘরটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে গাছটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভেঙ্গে রয়েছে, মাদ্রাসা চলমান অবস্থায় থাকলে ঘটতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চায় মাদরাসায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এই মাদরাসার ভেতরে ক্লাস করতে আমাদের ভয় করে। বিভিন্ন সময় যেকোনো মুহূর্তে গাছ ভেঙ্গে আমাদের উপর পড়তে পারে, এই ভয় নিয়েই ক্লাস করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, এই গাছটি ভেঙে মাদ্রাসা ভবন এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছটি কেটে ফেলা না হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে। এখন এই গাছটি দ্রুত সরানো হোক। এটা আমাদের জন্য সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের জন্যও সমস্যা। গাছটি সরকারি হওয়ার কারণে চাইলেই গাছটি কেটে ফেলতে পারছে না মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে যথাযথ নিয়মে গাছটি দ্রুত কেটে ফেলা দরকার। না হলে যেকোনো সময় আরও বেশি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ইতিমধ্যে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কে অবগত করেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি ইতিমধ্যে অবগত করেছেন।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার সজল চন্দ্র ভদ্র জানান, ঝরে গাছ উপরে পড়ে চাল ভাঙ্গার বিষয়টি অবগত হয়েছি। সরকারি বিধি মোতাবে গাছ কাটার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।