করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় এমন সব কাজে এখন ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এর মাধ্যমে প্রায় অসম্ভব কাজকে মুহূর্তের মধ্যে করা যাচ্ছে। এবার রাজনীতির ময়দানেও ব্যবহার হচ্ছে এআই। কয়েকদিন পরই ব্রিটেনে শুরু হবে ভোট। সেখানে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছে এআই স্টিভ।
ইতোমধ্যে ভোটের প্রচারও শুরু করে দিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে তৈরি এই রোবট। বিশ্বে এই প্রথম কোনো ভোটে লড়ছে এআই প্রার্থী, যা স্বাভাবিক ভাবেই হইচই ফেলে দিয়েছে ব্রিটেনজুড়ে। এই এআই প্রার্থী এনেছেন সাসেক্সের এক ব্যবসায়ী, তার নাম স্টিভ এরন্ডাকট। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের ব্রাইটন প্যাভিলিয়ন এলাকা থেকে লড়বেন এআই প্রার্থী।
এআই সংস্থা নিউরাল ভয়েসের চেয়ারম্যান স্টিভ এরন্ডাকট। নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন তার এআই অবতার এআই স্টিভ। ইতোমধ্যে তাকে নিয়ে প্রচারও শুরু করেছেন স্টিভ এরন্ডাকট। তিনি জানিয়েছেন, আমি হলাম আসল রাজনীতিবিদ, আমি পার্লেমেন্টে যাব। কিন্তু, আমি আমার সহকারী এআই স্টিভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মডেল বানিয়েছে আমার কোম্পানি নিউরাল ভয়েস। সাধারণ মানুষ এআই স্টিভের কাছে তাদের প্রশ্ন রাখতে পারবেন। স্টিভ এরন্ডাকটের পলিসি কেমন তার প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে ওয়েবসাইটে। সেসব প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে টেক্সট এবং ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে উত্তর দেবে এআই স্টিভ। যদি কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকল্পের সঙ্গে না মেলে, তাহলে ইন্টারনেটে রিসার্চ করবে এআই স্টিভ। তারপর সেই ব্যক্তিকে সঠিক প্রকল্পের কথা জানাবে এআই।
২০২২ সালে ভোটে জিতেছিলেন স্টিভ এরন্ডাকট, এ বছর তিনি তার এআই অবতার নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এআই স্টিভ আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ব্রিটেনে। স্টিভ এন্ডাকট দাবি করেছেন। এক রাতেই ১ হাজারটি কল পেয়েছে এআই স্টিভ। এমননি ব্রেক্সিট নিয়েও মতামত দিয়েছে এআই প্রার্থী।
এআই স্টিভ ভোটের লড়াইয়ে সফল হোক বা না হোক, রাজনীতির দুনিয়ায় আগামীদিনে যে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে এআই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু নাগরিকদের ডেটা বিশ্লেষণ করাই নয়, প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বে এআই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে ডেটা বিশ্লেষণের কাজ শুরু করে দিয়েছে একাধিক সংস্থা। ভোটের ময়দানে কীভাবে প্রযুক্তি সামনে রেখে বাজিমাত করা যায়, তার একটি অন্যতম উদাহরণ এই এআই স্টিভ।