রৌমারী সংবাদদাতা ; কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রথম দফা বন্যার পর কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে আবারও বন্যায় শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দ্বীতিয় দফায় আকস্মিক ভাবে বন্যার পানিতে জিঞ্জিরাম, হলহলিয়া, ধর্ণি, সোনাভরি, ব্রম্মপুত্র নদের পানি উপচে প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা প্রবল ¯্রােতের পানিতে এ নদী গুলি ভরাট হয়ে বন্যায় পরিণত হয়ে যায়। অন্যদিকে শুল্ক স্থলবন্দরে বন্যার পানি উঠায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকারত্বে দিনযাপন করছে।
৩ জুলাই বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠার ফলে এক বেলা না খেয়ে জনদুর্ভোগ পোহাতে হয় অনেক পরিবারকে। দ্বীতিয় দফায় বন্যার পানিতে সদ্য রোপনকৃত আমন ফসলের বীজতলাসহ কৃষকের সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে বন্দবেড়, চরশৌলমারী, রৌমারী, যাদুরচর ৪ টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামসুদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণসহ অনেকেই।
শুল্ক স্থলবন্দরে শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফক্কু বলেন কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি পাথরের মাঠের উপরে উঠারয় হাজার হাজার শ্রমীক স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনাতী পাত করছেন। তাদেরকে দ্রুত সরকারি ভাবে খাবারের সহযোগীতা না করলে তাদের কষ্ট বেড়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, প্রথম বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানিবন্দি পরিবারের মাঝে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে জিআর প্রকল্পের ত্রানের চাল বিতরণ করা হয়েছে। কয়েকদিনের রোদে পানি শুকিয়ে গেলেও হঠাৎ করে আবাও টানা বৃষ্টির ফলে ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যায় আবারো উপজেলার অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। বুধবার বন্যার পানি পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট বন্যার পরিস্থিতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। জিআর প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রানের চাল আসলেই সঙ্গে সঙ্গে বিতরন করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, আগের বন্যায় জেআরের চাল সব গুলি বিতরণ করা হয়েছে। আবারো হঠাৎ করে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা বন্যা পরিদর্শন করে এসেছি। তবে আগামী দিনের মধ্যে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রানের চাল ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করে বিতরণ করা হবে।