বাংলাদেশের গর্বের ‘পদ্মা সেতু’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান আজ (শুক্রবার)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সবকিছু মিলে ব্যয় হতে যাচ্ছে পাঁচ কোটি টাকার বেশি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে অনুষ্ঠিত হবে এই অনুষ্ঠান। এখানেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছিল ২০২২ সালের ২৫ জুন।
অনুষ্ঠান সূচি থেকে জানা গেছে, দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠানস্থলের আসন গ্রহণ করবেন অতিথিরা। বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন। বিকেল ৪টা ১ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। এরপর ৪টা ৫ মিনিটে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য রাখবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধান অতিথির ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, ৩ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলোর ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সবাই জানি ২০২২ সালের ২৫ জুন আমাদের গর্বের, অহংকারের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এই সমাপ্তি উপলক্ষ্যে মাওয়া প্রান্তে একটা সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আয়োজন যেখানে হয়েছিল সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। এ উপলক্ষ্যে যে কার্যক্রমগুলো নেওয়া হবে… ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সময় কম, সেহেতু ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না। সে জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজটি করার জন্য বিষয়টি এখানে উত্থাপন করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের বাজেট কত? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে বিধায় এখানে এসেছে। পাঁচ কোটি টাকার কম হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অনুমোদন করতে পারেন। খরচ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত খরচ বলা সম্ভব না।
তিনি বলেন, গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।