দেওয়ানগঞ্জে প্রবল বন্যার সাথে নদীতে ভাঙ্গন শ‘শ’ বন্যার্তদের আশ্রয় রেল স্টেশন-স্কুল কলেজে

খাদেমুল ইসলাম ; জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে গত ৫ দিনের প্রবল বর্ষন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গাড়ো পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতর চরম অবনতি হয়েছে। পৌরসভা সহ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন, দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতিভাঙ্গা, পাররামরামপুর, চর আমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়নের অধিকাংশ নি¤œ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আখ, পাট, শাক সবজির বাগানসহ অন্য সব ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলার আভ্যন্তরিন সড়ক যোগাযোগ অনেক স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গুলুঘাট ব্রীজ সংলগ্ন গুলুঘাট গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা গিয়েছে। গুলুঘাট-চৌধুরী বাড়ী-মন্ডল বাজার বাঁধের গুলুঘাট এলাকায় প্রায় সম্পুর্ন ভেঙ্গে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তোফায়েল আহমেদ নয়া দিগন্তকে জানান, সর্দারপাড়া ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করা হলেও হাতিভাঙ্গা ইউপির কাঠারবিল ভাঙ্গন এবং চিকাজানী ইউপির নয়া গ্রামের ভাঙ্গনস্থান পুনর্নিমান করা সম্ভব হয়নি। পানি না কমা পর্যন্ত তা সম্ভব হবে না। কাঠারবিলে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় দেওয়ানগঞ্জের সাথে উত্তরের ৪ ইউনিয়ন এবং কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কয়েকটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি মাপক মোঃ আব্দুল মান্নান নয়াদিগন্তকে জানান, গত ৪২ ঘন্টায় যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপদ সীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা দূর্গত শত শত নারী পুরুষ শিশু আশ্রয় নিয়েছে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন, স্কুল কলেজে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। বন্ধ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পরিষদ- সরকারি হাসপাতাল- বেলতলী বাজার- রেলস্টেশন সহ গুরুত্বপুর্ণ স্থান পানিতে সয়লাব। সরকারি বেসরকারি অফিসাদিতে সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহিতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। গত ৫ দিনেও দেওয়ানগঞ্জ- খোলাবাড়ী সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। হু হু করে বাড়ছে পানি। উপজেলার হাজার হাজার বাড়ী ঘর পানিতে নিমজ্জিত। উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝালরচর বাজার ও ঝালরচর মসজিদ নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম। দেওয়ানগঞ্জ- বেলতলী বাজার-মলমগঞ্জ বাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার শত শত পুকুর জলাশয়ের মাছ বানের পানিতে ভেসে গেছে।