বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড়ে ও এর আশপাশে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরে যেতে মাইকিং করছে পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন।
শাহবাগ মোড়ে আগে থেকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে রাখে। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় থেকে বিএসএমএমইউর গেট এবং মেট্রোরেলের সিঁড়ির সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের অবস্থানের কারণে একপর্যায়ে পিঁছু হটেছে পুলিশ; আস্তে আস্তে সরাতে হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান এবং জল কামান।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। এসময় পুলিশের একজন কর্মকর্তা মাইকিংয়ে বলতে থাকেন, ‘লক্ষ্মী ভাইয়েরা আমার। প্লিজ শাহবাগে চলে যান। আপনারা যারা আন্দোলন করছেন তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করুন। যারা শাহবাগের বাইরে অন্যত্র অবস্থান করবে তাদের আমরা দুষ্কৃতিকারী হিসেবে ধরে নেব।’
এসময় মাইকিং শুনে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের দিকে যেতে থাকে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক, গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোড, বাংলা মোটর, মৎস্য ভবন ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলনস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা
সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।