নিজস্ব সংবাদদাতা ; সমাজের দরিদ্র, অসহায়, সমস্যাগ্রস্থ রোগীর চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং একটি যতœশীল সমাজ গঠনের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে গঠিত জামালপুর রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম ও সক্ষমতা জোরদারকরণে করণীয় ও সুপারিশ শীর্ষক এক সেমিনার জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
বুধবার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহফুজুর রহমান। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ময়মনসিংহ সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিচালক তাপস ফলিয়া, জামালপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল কাইয়ুম, জামালপুর হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা ও রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, সদস্য সাযযাদ আনসারী, তৌফিকুল আলম শরীফ, শামীমা খান প্রমুখ। সেমিনারে ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক।
সেমিনারে সমিতির কার্যক্রম গতিশীলকরণে জাকাত মেলা, বিত্তবানদের অনুদান, আজীবন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার বাজেটে রোগী কল্যাণের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ রাখা, সরকারি অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করাসহ তহবিল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেন। পাশাপাশি প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় রোগীরা যেন চিকিৎসা সহায়তা পায় এ ব্যপারে প্রক্রিয়া সহজ করা এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আরো সদয় হবার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সমিতির সদস্যরা নিয়মিত কার্যক্রম দেখভাল করা, রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা, আয়, ব্যয়ের বিষয়ে পরামর্শ দেয়াসহ তহবিল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য জোর আহ্বান করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক গোলাম মোস্তফা জামালপুর রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রমের প্রশংসা করে তহবিল বৃদ্ধির জন্য উপস্থাপিত প্রতিটি সুপারিশের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি আরো আয়মূখী কার্যক্রম বাড়াতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে একটি ক্যান্টিন স্থাপন এবং জাকাতের টাকা উত্তোলনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সেমিনার শেষে পরিচালক হাসপাতালে নিজ সন্তানদের হাতে প্রহৃত শারীরীক প্রতিবন্ধি মুন্না মিয়াকে দেখতে যান। তিনি রোগী কল্যাণ সমিতির তহবিল থেকে তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।