নিজস্ব সংবাদদাত : জামালপুরের ইসলামপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মুক্তা বেগমের হত্যাকারী স্বামী খোকনের ফাঁসির দাবিতে মেলান্দহে মানববন্ধন করেছে নিহত পরিবার ও এলাকাবাসী।
গত সোমবার ১৫ জুলাই সকালে মেলান্দহ উপজেলার গোবিন্দী টনকী বাজারে জামালপুর-ইসলামপুর মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে নিহত মুক্তার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান রুস্তর মিয়া, মাতা মর্জিনা বেগম,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ ও মেহের আলীসহ এলাকাবাসীর অনেকেই বক্তব্য রাখেন। এসময়য় বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ৯ জুলাই ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কাছিমা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা বেগমকে তার শশুরবাড়ীর লোকজন ও স্বামী খোকন মিয়া (৩৭) যৌতুকের দাবীতে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। নিহত মুক্তার বাবা রস্তর মিয়া জানান, “আমার দুই মেয়ের মধ্যে মুক্তা বেগম (২৫) কে ৭/৮ বছর আগে ইসলামপুরের কাছিমা গ্রামের দুলু বেপারির ছেলে খোকন মিয়ার (৩৭) কাছে বিয়ে দেই। তাদের ঘরে ২ সন্তান আছে। ছোট সন্তাননের বয়স এক/দেড় বছর। আমার ছেলে না থাকার অজুহাতে আমার মেয়ের স্বামী খোকন মিয়া যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকদফা দেনদরবারও হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমি জীবিকার তাগিদে আমি ঢাকায় চলে যাই। এ সময় আমার মেয়ে মুক্তা এবং তার স্বামী খোকনের কাছে ৫০ হাজার টাকা, আমার স্ত্রী মর্জিনার গহনাসহ মুল্যবান জিনিষপত্র রেখে যাই। কয়েকদিন পরেই গচ্ছিত টাকা তছরুপসহ গয়না বিক্রি করে আসামী খোকন। এ নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তার সাথে স্বামী খোকনের বিবাদ হয়। ৯ জুলাই সকালে আমি ঢাকা থেকে মেয়ে মুক্তার কাছে ফোন করলে আসামী খোকন আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে দেয়নি। দুপুরের দিকে আসামী খোকন এক/দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে রহস্যজনকভাবে আমার বাড়িতে চলে আসে। কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে যাবার আধা ঘন্টার পর খোকন ফোন করে মুক্তার মৃত্যুর খবর জানায়। ইসলামপুর থানা পুলিশ আমার মেয়ে হত্যার মামলা নেয়নি। পরে আমি জামালপুর নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা (নং-১৭০/২৪, তারিখ-১৪/৭/২৪) দায়ের করি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই। “