যমুনা ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে চিনাডুলী বসতভিটা

Oplus_131072

নিজস্ব প্রতিনিধি : যমুনা হ্রাস বৃদ্ধির সাথে সাথে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের পশ্চিম বাবনা যমুনা নদীর বামতীর বাঁধে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। চলতি বন্যা মৌসুমে যমুনার পানি হ্রাস বৃদ্ধির সাথে সাথে যমুনা নদীর বামতীর বাঁধের পশ্চিম বাবনা সরকার বাড়ী, ঝান্টিবাড়ী এক কিলোমিটার এলাকার ভাঙ্গনে কবলে পড়ে দিশেহারা যমুনা পাড়ের মানুষ নীর্ঘুম রাত কাটছে। ভাঙ্গনের হুমকির মূখে ইসলামপুর চিনাডুলী পশ্চিম বাবনা এলাকার তাহাজুল সরকার, মালেক, জব্বার, জিয়াউল হক, বেটারী,নজরুল মেম্বার, শাহজাহান সরকার,চিনি সরকারসহ এলাকার শতাধিক বসতভিটা ও ফসলী জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যমুনার পানি স্রোতের চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) র সারে চারশত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত যমুনা তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উপর নির্মিত ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের কাবিটা প্রকল্পের ২কোটি টাকার ব্যায়ে মাটির বাঁধ কাম রাস্তা। ভাঙ্গন কবলিত যমুনা পাড়ের এলাকাবাসী জানান, যমুনার ঘূর্ণয়মান স্ত্রোতের চাপে বাঁধের নিচে মাটি সরে গিয়ে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের পুরাতন পাইলিং ও কাবিটা প্রকল্পের ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাঁধ যমুনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বালির বস্তুা ডাম্পিং করা হলেও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত তাহাজুল সরকার, জুবায়ের হোসেন,শিপরা ও সোহাগীসহ এলাকাবাসী জরুরী নদী ভাঙন রোধসহ স্থায়ীভাবে যমুনার বামতীর উঁচু করে বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চিনাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামও জানান গুঠাই থেকে উলিয়া পর্যন্ত স্হায়ীভাবে যমুনা বামতীরে একটি উঁচু করে বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণ করা হলে যমুনা নদী ভাঙন রোধসহ হাজার হাজার একর ফসলী জমি অকাল বন্যা মুক্ত হবে। নদী ভাঙা মানুষ আবার তাদর বসতী গড়ে তুলবে। ইসলামপুর গুঠাইল থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনা বামতীর সংরক্ষণে নতুন করে প্রকল্প নেওয়া হবে কিনা এব্যাপারের জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, সমীক্ষা চলছে, ‘যমুনা নদীর বামতীর সমন্বিত পানি ব্যাবস্হাপনা ফেজ -১” একটি শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। স্টাডির আলোকে কোন প্রস্তাব আসলে তা অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।