জুলুম-অত্যাচার করলে ভারত ভেঙে খানখান হয়ে যাবে

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, একদিকে আমাদের ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন। তাদের পাশে আমরা দাড়ানোর চেষ্টা করছি, সাথে সাথে ভারত হঠাৎ করে গেটগুলো খুলে দেয়ার কারনে বন্যার পানিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ কষ্ট করছে। প্রতিবেশি রাষ্টকে আমরা বলতে চাই, আমরা পাশাপাশি প্রতিবেশি সুলভ বসবাস করতে চাই, আমরা বিমাতাসুলভ কোন আচরণ চাইনা। ইনসাফের ভিত্তিতে, ন্যায়ের ভিত্তিতে বসবাস করতে চাই। জুলম, অত্যাচার করলে পৃথিবীর ইতিহাস স্বাক্ষী অনেক বড় বড় দেশ ভেঙে খানখান হয়ে গেছে, ভারতও ভেঙে খানখান হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু মিলনায়তনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে চেয়েছিলো আল্লাহ তাদের খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু জনসাধারন নয় বিগত স্বৈরাচার সরকার দেশের বিচারকদেরকেও গোলামে পরিণত করেছিলো। মানুষের সর্বশেষ আশ্রয় বিচার ব্যবস্থা, সেটিকেও তারা ধ্বংস করে দিয়েছিলো। পুলিশ প্রশাসন ও কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত গোলামে পরিনত করা হয়েছিলো।
জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মাওলানা মো: খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল আওয়াল, সিনিয়র সহ-সেক্রেটারী নুরুল হক জামালী, সহ-সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সালমানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জামালপুর জেলার নিহত ১৩ জনের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। নিহতের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে নগদ ২ লক্ষ টাকা করে মোট ২৬ লক্ষ টাকা প্রদান করে জামায়াতে ইসলামী। এরপর আন্দোলনে নিহত শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।