মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অভিমুখে বিশাল মিছিল, টিয়ার শেল নিক্ষেপ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে ছড়িয়েছে সহিংসতা। হামলা ও প্রাণহানি মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। আর এর মধ্যেই রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল বিক্ষোভ।

রাজ্যটির রাজভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে বিশাল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নাউ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইম্ফল পশ্চিম জেলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার প্রতিবাদে রোববার রাতে হাজার হাজার মানুষ মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের রাস্তায় নেমে আসেন।

তারা দীর্ঘ রাস্তা পায়ে হেঁটে রাজভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হয় এবং একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

নর্থইস্ট নাউ বলছে, বিক্ষোভকারীরা শহরের তিদ্দিম রোড ধরে তিন কিলোমিটারের বেশি মিছিল করে হাই-সিকিউরিটি জোনের দিকে এগোলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দেয়। মূলত বিক্ষোভকারীদের সামনে অগ্রসর হতে বাধা দেওয়ার জন্য পথে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল মণিপুর পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়। বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে রাজভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছাকাছি, এমনকি পুলিশ সদর দপ্তর, মনিপুর সচিবালয় এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অফিসের কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।

এদিকে নিরাপত্তা বাহিনী মিছিলে বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা কেশমপাটে রাস্তায় বসে পড়েন এবং ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয় এবং হামলার সাথে জড়িত দোষীদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা তুলে ধরে স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা এসময় হামলা প্রতিরোধে পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগে রাজ্য পুলিশ প্রধানের অপসারণের দাবিতেও স্লোগান দেন।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাউতরুক গ্রামে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ওই হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছিল।

এর পরের দিন আগের দিনের হামলাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সেনজাম চিরাং গ্রামে আবারও ড্রোন হামলা চালানো হয় এবং এতে তিনজন আহত হন।