জামালপুরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী আমলি আদালতে ২টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলার চেঁচিয়াবাধা এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. রুমেল সরকার ও একই উপজেলার পোগলদিঘা এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন।

মো. রুমেল সরকারের মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিগত ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি বক্তব্য দেখতে পায় সে। ভিডিওটিতে ডা. মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কটূক্তি ও বাজে মন্তব্য করে বলে শুনেন। ওই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার বাদী মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও পানসীয়ানা নামক ওই ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের কর্ণধার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ রেইনসকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা খাতুন মামলার শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দিয়েছেন। 

অপর আরেকটি মামলার বাদী মো. মাজহারুল ইসলামের এজাহার থেকে জানা যায়, বিগত ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ডা. মুরাদ হাসানের হুকুমে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বাদীর বড় ভাই মাসুদ ও মামলার ১ নাম্বার সাক্ষী আয়ুব আলীর চোখ বেঁধে বেদম প্রহার করে। একপর্যায়ে মাসুদকে চোখ বাঁধা অবস্থায় যমুনার শাখা নদী চেচিয়া বাঁধাঘাটপাড়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অপরদিকে আয়ুব আলী নিজে থেকেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান; কিন্তু মাসুদ নিখোঁজ থাকে। পরবর্তীতে মাসুদকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ওই সময় সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দিলে উল্টো সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাদীর বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। 

এজাহারে আরও উল্লেখ আছে, এ মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মাসুদকে খুন করে তার লাশ গুম করে ফেলেছে এবং আসামিদের প্রভাবের কারণে মামলাটি দায়ের করতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়েছে। 

মাসুদ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক জানান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি শুনানি শেষে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।