কিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ পেসার নিয়ে স্কোয়াড সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। আসন্ন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে একজন পেসার কমিয়ে ব্যাটার বাড়ানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুই টেস্টের সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণার পর এ বিষয়ে ব্যাখা দিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার। তিনি বলেন, ‘কন্ডিশন বলতে এখানে চেন্নাইতে খেলা হচ্ছে আর কানপুরে খেলা হচ্ছে। তারা পেস উইকেটও করতে পারে। আমাদের চারজন পেসার আছে চারজন খেলানো কঠিন। তিনজন খেললেও একজন ব্যাক-আপ থেকে যাচ্ছে। ব্যাটিং লাইন-আপ একটু লম্বা করা হচ্ছে কারণ এই স্কোয়াডে পাঁচজন পেসার নিয়ে গেলে এক্সট্রা পেসার দরকার নাও হতে পারে।’
বিসিবির এই নির্বাচক বলেন, ‘যেহেতু আগের সিরিজে চিন্তা ছিল তাসকিন (আহমেদ) ব্যাক করেছে অনেকদিন পরে সেখানেও আমরা ব্যাক-আপের চিন্তা করেছি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ তাসকিন কিন্তু অনেক ভালো ফর্মে রয়েছে বা ছন্দে রয়েছে। তাসকিন টেস্টে ফিরে অনেক ভালো বোলিং করেছে। সে জায়গা থেকে পেস অপশনে চারজন দিয়ে আমরা কাভার করতে পারি।
আরও বলেন, হোম সিরিজেই সবাই তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। আমরা স্পিন-পেস দুই বিভাগেই কাভার করেছি। তাইজুল (ইসলাম), নাঈম (হাসান) ম্যাচ খেলেনি পাকিস্তানে তারাও কিন্তু ছিল। পেসার চারটা নিয়েও আমরা ভালো জায়গায় আছি। এরপর সঙ্গে ব্যাটিংয়েও আমরা চিন্তা করলাম অপশন একটা বাড়িয়ে নিলে আমরা চিন্তা করতে পারব।’-যোগ করেন তিনি।
এর আগে শরিফুল ইসলামের না থাকা নিয়ে হান্নান বলছিলেন, ‘শরিফুলকে আসলে শতভাগ ফিট বলা যাবে না। (পাকিস্তানে) দ্বিতীয় টেস্টেই ও আনফিট ছিল। যে কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ছিল না। তারপর সেই প্রক্রিয়ায় ওকে ফলো-আপে রাখা হয়েছে। ফিজিও-ট্রেনাররা তার দেখভাল করছেন। তাকে টেস্টের জন্য শতভাগ ফিট বলব না। কারণ টেস্টে ১৫-২০ ওভার বোলিং দরকার হতে পারে। সামনে আমাদের টি-টোয়েন্টি খেলাও আছে। ওই সংস্করণেও শরিফুল আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।’‘সেই জায়গা থেকে ও যেহেতু শতভাগ ফিট নয়, তাই আমরা ঝুঁকির জায়গায় যেতে যাচ্ছি না। কারণ আমাদের টেস্ট দলে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো বেশ কয়েকজন তৈরি করতে পেরেছি। যারা ফিট আছে। তাই আমরা শরিফুলকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইনি। আশা করি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে গেলে সে টি-টোয়েন্টি দলে আসবে।’