পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয়-আব্দুর রউফ মান্নান

রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক ঐক্যর প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রউফ মান্নান বলেন-পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয়।এদের কাছে লক্ষ্য লক্ষ্য ডলার মজুদ আছে, এরা টাকা দিয়ে সন্ত্রাসি লোকজন ভাড়া করে বারবার অন্তরবর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। আপনারা সবাই দেখেছেন ২ দিন পূর্বে তারা সনাতন ধর্মালম্বীদের সাহাবাগ চত্বরে নামিয়ে দিয়েছিল। তাদের দাবি তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংখ্যালঘুদের দাবি মন্দির ও উপাশণালয় পাহারা দেওয়া চলবে না। ওই সমাবেশে এক মহিলা তো উচ্চকণ্ঠে বলেই ফেলেছেন জামাতে ইসলামের ছেলেরা কেন আমাদের মন্দির পাহারা দিবে? আসলে এরা কেউ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নয়, ওই সমাবেশ ছিল পতিত স্বৈরসরকারের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রেতাআত্মা বিশ্বাস করো, তোমরা যদি ওই সময় ছাত্রদের প্যান্ট খুলে পরীক্ষা করলেই বুঝতে পারতে। এরা সবাই পতিত সরকারের প্রেতাআত্মা। কিছুদিনের পূর্বেও আমরা দেখেছি ওই প্রেতাত্মারা আনসারের বেশ ধরে সচিবালয়সহ পল্টন এলাকায় দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এবার সংখ্যালঘু সেজে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশে করার চেষ্টা করছে। এই দেশ আদিবাসী ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। কোনো বিভেদ নাই,সংঘাত হয়নি ।সব সম্প্রদায়ের লোক নিয়ে আমরা শান্তিতে বেঁচে আছি। ১. ভারত আমাদের শত্রু নয় ২. পশ্চিমবঙ্গ আমাদের শত্রু নয় ৩. সেভেনসিস্টারও আমাদের শত্রু নয় ৪.বাংলাদেশের প্রধান শত্রু হচ্ছে চরম হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার। ৫. এই লুন্ঠনকারী মোদি সরকারকে চাপে রাখতে হবে। ৬. রক্তপিপাশু খুনি হাসিনা আর,এস,এস এর মোদীর সক্ষতা চরম পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে।. কোথায় কোন বেশে অভির্ভাব হতে হবে তার নির্দেশ দিচ্ছে খুনি হাসিনা। তারা এখন ধুর্ত শিয়ালের রূপ ধারণ করে জঙ্গল, বন বাদাড়ে বসে পরামর্শ করে চলেছে। মনে রাখবে, আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ডক্টর ইউনুস সাহেব বলেছেন”বর্তমান সময় রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ”আমরা এখনো বিপদমুক্ত নই, কাজেই হিন্দুস্তানকে চাপে রাখতে হলে আমেরিকা,পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখতে হবে।