শাহ রিয়াজ আহমদ আশরাফী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে পল্লবীতে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

শাহ রিয়াজ আহমদ আশরাফী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে পল্লবীতে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয় ।ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. ইমাম হাসান বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পল্লবীস্থ বড় মসজিদের সামনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান বলেন, বিশ্বে ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (স.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আল-আম্বিয়া ১০৭)।

ইমাম হাসান বলেন- মুহাম্মদ (স.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন।

ইমাম হাসান বলেন, আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবীর (স.) অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।

তিনি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে মহানবী (স.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন। উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী (সুমন),আজিজুল ইসলাস সাউদ, মো. ইফরান, মো. মুরাদ, মো. রহমত, শাহনেওয়াজ প্রমুখ।