টেস্ট শুরু একদিন পর। এরইমাঝে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে চেন্নাইয়ে লাল মাটির পিচেই খেলা হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট। তবে ম্যাচের আগেরদিন ভারত দল আচমকাই ফিরে গেল কালো মাটির পিচের কাছে। সেখানেই স্পিনারদের বিপক্ষে চলল লম্বা সময় ধরে অনুশীলন।
প্রথম টেস্ট খেলা হবে লাল মাটির পিচেই। বরাবরের মতো শুষ্ক পিচে পেসারেরাও ভাল সাহায্য পেতে পারেন। কিন্তু কালো মাটির পিচে স্পিনারেরা সাহায্য পান বেশি। মিরপুরে শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে এমন কালো মাটির পিচেই খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ।
চেন্নাইয়ের চিপাকে লাল মাটির পিচ তৈরি করা হয়ে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে থেকে বালি এনে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, টিম ম্যানেজমেন্টের শঙ্কা চেন্নাইয়ের চলমান গরমের কারণে পিচের আচরণ ম্যাচের শেষদিকে বদলে যেতে পারে। আচরণ হতে সেই মিরপুরের পিচের মতোই। এরইমাঝে চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর জানালেন, টেস্টের শেষদিকে একেবারেই স্পিন সহায়ক হয়ে উঠবে উইকেট।
শেষদিকে পিচের এমন পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছে চেন্নাইয়ের গরম। চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের কিউরেটর জানালেন, ‘চেন্নাইয়ে গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রবল গরম। প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা রয়েছে। পিচে যথেষ্ট পরিমাণে পানি দেওয়া হচ্ছে। তবু অত্যধিক গরমের কারণে ম্যাচ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে পিচ ভাঙতে পারে।’
ভারত কেন তবে কালো মাটির উইকেটে অনুশীলন করেছে সেই বিষয়ে কিউরেটরের বক্তব্য, ‘পিচ ভাঙলেই স্পিনারদের দিয়ে বল করানো শুরু হবে। ম্যাচের শেষ দিকে স্পিনারেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তাই জন্যে হয়তো ভারতের ব্যাটারেরা স্পিনের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে কালো মাটির উইকেটে প্রস্তুতি নিয়েছেন।’
লাল মাটির উইকেটে সাধারণত কাদামাটির পরিমাণ কম থাকে ফলে পিচে পানি শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যে কারণে উইকেট দ্রুতই শুকিয়ে যায় এবং অনেক তাড়াতাড়ি উইকেটে ভাঙন ধরে। এই ধরনের উইকেটে বাউন্স থাকে প্রচুর তাই শুরুর দিকে পেসাররা সুবিধা পাবেন এটাই স্বাভাবিক। ভারতের এই সিরিজে পেস বোলিং লাইনআপে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজ। শুরুর দিকে বাংলাদেশের বিপদ বাড়াবেন এই দুজন।
তবে লাল মাটির এই পিচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পিন সহায়ক হতে শুরু করে। তবে যেহেতু পিচ তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় তাই স্পিনাররা বাউন্স এর সাথে অস্বাভাবিক টার্নও পেতে পারেন। যা টাইগার ব্যাটারদের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্ন।