শিশু মনের স্মৃতি অনলাইন সংস্করণ – ০৩ (১৯ থেকে ২৩ পৃষ্ঠা)
বাবা মারা যাওয়ার পর আমার দু’বোনসহ রাতে মার সাথে ঘুমাতাম। মা প্রতিরাতে আমাদের কেচ্ছা-কাহিনী শুনাতেন। মায়ের একপাশে আঁচলের মধ্যে মুখ ঢেকে ঘুমিয়ে পড়তাম। আমার বয়স তখন ৪ বছর ৭ মাসের মতো। একরাতে আমার হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। পাশ ফিরে দেখি মা নেই। ফিরোজা বুবু ও ছোট বোন বেগমও ঘুমিয়ে আছে।
আমাদের ঘরে একটি জার্মানীর তৈরী দেয়াল ঘড়ি আছে (যা এখনও চলমান)। তখনও সময় দেখতে শিখিনি। শুধু ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গুনতে শিখেছি মাত্র। ঘড়ির ঢং ঢং আওয়াজ গুণতে পারি। সারাবাড়ি মাকে না পেয়ে (রান্নাঘরের পাশে) ঢেঁকিঘরে গিয়ে দেখি মা, বড় মা আর দাদি- এই তিনজন ঢেঁকিতে ধান ভানছেন। মা ও বড় মা ঢেঁকিতে পাড় দিচ্ছেন। দাদি ঢেঁকির সামনের অংশে মাটিতে পোঁতা কাঠের গর্তে ধান উঠানামা করছেন। ঢেঁকির তালে তালে সুমধুর এক আওয়াজ আসছে। মা আমাকে দেখেই বলে উঠলেন ‘তুমি কেন এসেছো বাবা। এক্ষুণি ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ো।’
আমি মার কথা একেবারে কানে নিলাম না। ঢেঁকিঘরের এক কোণায় মাটিতে বসে দেখছিলাম, কিভাবে ধান থেকে লাল লাল চাল বের হয়। শিশু মনে কেমন যেন মজা লেগে গেল। সাহস করে মাকে বললাম- ‘আমি এখানে বসে তোমাদের ঢেঁকিতে পাড় দেয়া দেখবো।’
দাদি ধানগুলো ঐ কাঠের গর্তে নামিয়ে দিয়ে অমনি হাত সরিয়ে নিচ্ছেন। আমার শুধু মনে হলো, কখন যে দাদির হাতের উপর ঢেঁকির মাছতুলটা গিয়ে পড়বে! মা আমাকে দেখছেন। কিছু পরে ঘর থেকে একটা মাদুর ও বালিশ এনে বিছিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এখানে শুয়ে শুয়ে দেখো।’ দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না ।
সকালে রোদ উঠেছে, মা আমার শিওরে বসে হাতপাখার বাতাস করছেন। সারারাত মা-দাদি কাজ করেছেন, সকালের সাংসারিক কাজও সেরেছেন। একটি বারও ঘরে শুইতে বলেননি আমাকে। এই দরদমাখা স্মৃতিগুলো আমাকে আমার অভাগিনী মায়ের কাছে নিয়ে যায় বারবার ।
গৃহশিক্ষকের কাছে শিশুকাল
বাবা মারা যাওয়ার ৩/৪ মাস পর ডিসেম্বরের শেষ দিকে দাদার সঙ্গে আমাদের খলিয়ানে ধান মাড়াই দেখছিলাম। তখন সময় সকাল ১১/১২ টা। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরা এক ভদ্রলোক এসে দাদাকে সালাম জানালেন। দাদা তাকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘কী কাজে আমার খোঁজ করছো?’ ভদ্রলোক বললেন- ‘আমি একজন শিক্ষক। ছোট বাচ্চাদের পড়ালেখা করাই। যদি আমাকে শিক্ষক হিসেবে রাখেন তা হলে আপনার বাড়িতে জায়গীর থেকে বাচ্চাদের পড়াবো।’ সে সময় গ্রামের বাড়িতে গৃহশিক্ষক রাখা হতো ফ্রি ফুডিং, লজিং-এর বিনিময়ে, এটাকেই জায়গীর বলা হতো। দাদা তাকে বসতে বললেন এবং তাঁর বাড়ি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলেন ।
এই ভদ্রলোকের সবকিছু মনপূত হওয়ায় তাকে আমার গৃহশিক্ষক রাখতে দাদা সম্মত হন। আমার জীবনের প্রথম এই গৃহশিক্ষককে বৈঠকখানায় থাকার ব্যবস্থা করা হলো, যেখানে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।
তখন থেকে আমি গৃহ শিক্ষকের প্রথম ছাত্র হলাম। সম্ভবত গৃহ শিক্ষক বা লজিং মাস্টার হিসেবে তিনিও প্রথম ছিলেন। আমাকে পাঠদান করার শুরুতেই আমাদের সংসারের খুঁটিনাটি জেনে নিলেন দাদার কাছে। পড়ালেখা শুরুর আগেই দাদা আমাকে বই, খাতা, পেন্সিল, কলম ও স্লেট কিনে দিয়েছিলেন। স্লেট সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের ধারণা না থাকারই কথা । একসময় স্লেটে শিশুদের হাতের লেখা (বাংলা, ইংরেজি বা গণিত) লিখে শিখানো হতো । স্লেটে লেখার জন্য সিলেট পেন্সিল বা চক ব্যবহার করা হতো।। এখন প্লেটের প্রচলন নেই বললেই চলে।
লজিং মাস্টারের নাম ছিল আবুল কাশেম। তাঁর গ্রামের বাড়ি পূর্ব শ্যামপুর, আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দশ মাইল দূরে। তাকে পেয়ে আমি খুবই খুশি হই। কাশেম স্যার আদর-যত্ন সহকারে লেখাপড়া শিখাতেন। তবে দীর্ঘসময় ধরে লেখাপড়া দাদার তেমন পছন্দ ছিল না। আমাদের পড়ার সময় ছিল দুই ঘন্টা। সকালে এবং রাতে। আমার সঙ্গে আমার বড় বোন ফিরোজা গুরুও পড়তো। সে আমার তিন বছরের বড়। বুবু থ্রিতে আর আমি ক্লাস ওয়ানে। ছোট বোনের তখনও পড়ালেখা করার বয়স হয়নি ।
দাদা কাশেম স্যারকে বাড়িতে জায়গীর থাকার সুযোগ দেয়ায় স্যার খুব খুশি হয়েছিলেন। দাদাকে খুবই সমীহ করতেন। দাদার প্রতি অত্যধিক ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং বিনয়ের কারণে কাশেম স্যার খুব স্বল্পসময়েই দাদার মন জয় করতে সক্ষম হন। পরিণত হন দাদার একান্ত প্রিয়পাত্রে। দাদা কাশেম স্যারকে আমাদের জমি-জমা, চাষবাস ইত্যাদি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিলেন। এসব বিষয় নিয়ে স্যারের অতিউৎসাহ দেখে দাদা নতুন করে চাষবাসে উদ্যোগী হলেন। অবশ্য, মৃত্যুর আগে দাদাকে চাষবাস করতে নিষেধ করেছিলেন বাবা । বাবার মৃত্যুর পর দাদা খুব মুষড়ে পড়েছিলেন। কারণ আমাদের ভূ-সম্পত্তি, অনেক গরু-মহিষ, ভেড়া-ছাগলেরপাল বা কাজের লোক- এসব সামলানো দাদার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
কাশেম স্যারকে মতামতের ভিত্তিতে সব কাজের দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে দেয়ার পর দাদা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। একুশ/বাইশ বছরের সাহসী এই সুদর্শন তরুণ কাশেম স্যারের চেহারা ছিল নায়কোচিত। অর্থাৎ সে সময়ের নাটক-সিনেমার অনেক নায়কের সঙ্গে তাঁর চেহারার মিল ছিল। যেমন তাঁর নাক, ফর্সা গায়ের রং, তেমনি লম্বা, এক কথায় সুপুরুষ। পরবর্তীতে কাশেম স্যার আমার ফুফা হয়ে গেলেন। আমার ছোট দাদার ছোট মেয়েকে দিয়ে বিয়ে গিয়েছিলেন দাদা।
সুবরাজপুর জুনিয়র হাই স্কুল তখন এলাকার একমাত্র স্কুল তবে তেমন পরিচিত নয়। ফিরোজা বুবুকে ক্লাস থ্রি এবং আমাকে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করে দেন দাদা। ছোট বোন বেগম তখনও স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। আমরা দুই ভাই-বোন এবং অন্য শরিকের ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে প্রতিদিন সকাল ৯ টার দিকে পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতাম। বিনাকারণে স্কুল ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা আমাদের ছিল না। নিয়মিত স্কুলে যাওয়া, বাড়িতে দুই বেলা কাশেম স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়া এবং শরিকের অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে খেলাধুলা করে আমার শিশুকাল বেশ ভালই কাটছিল।
আমাইপুকুর গ্রামে আমরা ছাড়াও বেশকিছু শিক্ষিত পরিবারের বাস ছিল। অনেক পরিবারে কমপক্ষে একজন ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সে সময় অন্যান্য গ্রামের মতে আমাইপুকুরও পরিচিতি ছিল শিক্ষিত লোকদের গ্রাম হিসেবে। পত্নীতলা থানার মধ্যে আমাদের গ্রামের ফুটবল মাঠটিই সেরা, যেমন উঁচু তেমনি প্রশস্ত। আমাইপুকুর আনসার ক্লাব নামে গ্রামে একটা রেজিস্টার্ড ক্লাব ছিল। এই ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন ডা. মমতাজ হোসেন। শীতকালে নাটক, থিয়েটার, যাত্রাগান, পালাগান, কবি গান এবং কবিতা পাঠের আসর বসতো। শতবর্ষী এই ক্লাবটি এখনো তার স্বমহিমায় টিকে আছে। আমাদের সেই নায়কোচিত চেহারার কাশেম মাস্টার, আমাইপুকুর আনসার ক্লাব আয়োজিত সব নাটকেই নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। আমরা এবং আশে পাশের গ্রামের ছেলে মেয়েরা রাত জেগে নাটক বা সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপভোগ করতাম। হারমোনিয়াম, তবলা, বাশি আর সানাইয়ের মধুর সুরধ্বনি কানে সব সময় অনুরণিত হতো। এমনকি অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার তিন, চারদিন পর্যন্ত সানাই ও হারমনিয়ামের বাজনা কানে বাজতো । আমার শিশু মনে কী যে আনন্দ হতো, তা এখন ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আমি যখন ক্লাস ফোরে, তখন সহপাঠি হিসেবে ছিল ছোট চাচা আবুল কাশেম চেরু, আহম্মদ, কাফিজ ও গফুরসহ আরো কয়েকজন। এরা ছিল খুব অন্তরঙ্গ বন্ধু। এদের মধ্যে কাফিজ, আহম্মদ এবং আমি সারাজীবনের বন্ধু হয়েই থেকে গেলাম। তিন বন্ধু মিলে বরই, তেঁতুল, কাঁচা আম, কদবেল রীতিমতো আসর বসিয়ে খুব মজা করে খেতাম। গ্রামের লোকজন (বিশেষ করে মুরুব্বিরা) আমাদের খুব স্নেহের চোখে দেখতেন। অপত্যস্নেহ পেয়ে আমরা ধীরে ধীরে তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে সক্ষম হই। গ্রামের উন্নয়নমূলক যেকোনো কাজে আমাদের অংশগ্রহণকে মুরুব্বিরা একযোগে সমর্থন করতেন।
আহম্মদের চাচা মজিবর রহমান, বয়সে আমার কিছু বড় ছিল, বেশ বুদ্ধিমান। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির চর্চা করতো সে। বড় হয়ে খেলাধূলা ছাড়া সে আমাদের সঙ্গে তেমন মিশতো না। আমার ছোট চাচা চেরু এবং আমি সমবয়সী, একই ক্লাসে পড়ি। চেরু আর আমি অধিকাংশ সময় একসঙ্গে খেলাধুলা করতাম, লোকে বলতো মানিকজোড়। আমার কর্মজীবনের বড় একটি অংশ জুড়ে আমৃত্যু সে আমার পাশেই ছিল, আমার একান্ত সচিবের মতো ।
মাকে মাঝে মাঝে বাবার কথা জিজ্ঞেস করতাম। তারপর এক সময় মনে হলো বাবা আর ফিরে আসবেন না। তখনই মানুষের বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়ার বিষয়টা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রায়ই বাবার কবরের পাশে যেতাম, ঠিক আমাদের বাড়ির পাশে মসজিদের সামনেই বাবার কবর। আশেপাশে আরো অনেক কবর। এসব কবর দেখে মনে হতো এই মানুষগুলো একদিন জীবিত ছিল। আজ পরিণত বয়সে সেদিনের সেই শিশুমনের ভাবনার দৃশ্যপট ছিল এক সার্বজনীন সত্য ।
বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে দাদার দু’চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরতো। বাবার মৃতুতে দাদা খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। বাবার আগে ছেলের মৃত্যু, এ যে কত হৃদয়বিদারক তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কারো পক্ষে বোঝা সহজ নয়। এইভাবে তিন/চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পর দাদা এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বাকি চোখটার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় ঘোড়ায় সওয়ার হতে পারতেন না।
সংসারের সর্বময় দায়িত্ব কাশেম স্যারের হাতে তুলে দেন দাদা। এরপর থেকে কাশেম স্যারের কাছে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেল। আমার জন্য একজন প্রাইভেট শিক্ষক রাখা হলো। ওই শিক্ষকই আমাকে একনাগারে প্রায় চার বছর পড়ালেখা শিখিয়েছিলেন। আমার এই দ্বিতীয় গৃহশিক্ষকের নাম নাজিরুদ্দীন আহম্মেদ। নাজির স্যারের হাতের লেখা খুবই সুন্দর ছিল। সারের সুন্দর হাতের লেখার প্রভাবে আমরা যারা স্যারের কাছে পড়ি, তাদের সবার হাতের লেখাই সুন্দর হয়ে গেল। নাজির স্যার ছিলেন স্পোর্টসম্যান, বেশ হাস্যরসিক মানুষ। তাঁর প্রতিটা কথাতেই আমাদের হাসির খোরাক যোগাতো। নাজির স্যার পাশের গ্রাম সুবরাজপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়েছিলেন, এখন অবসরে। তিনি এখনো বেঁচে আছেন, বয়স একশ’র কাছাকাছি হবে হয়তো।
দাদা মসজিদের ইমাম ছিলেন। দাদা প্রতি রাতে তাহাজ্জতের নামাজ শেষে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করতেন, যা শুনে গ্রামের মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যেত। গ্রামের মানুষ নিয়মিত দাদার কোরআন তেলাওয়াত শুনতেন। এ ছাড়াও মাগরিবের নামাজ শেষে গ্রামের সকলেই দাদার পুঁথিপাঠ শোনার জন্য আমাদের বৈঠকখানায় ভিড় জমাতো। বেশ সুর করে পুঁথি পড়তেন। কখনো বা কিচ্ছা কাহিনী শুনাতেন, বিশেষ করে আরব্য রজনীর গল্প। এর কিছুদিন পর দাদা চিকিৎসাপেশা ছেড়ে দিলেন। অবশ্য চিকিৎসক হওয়ার আগে তিনি শিক্ষক ছিলেন। আর তাঁর হাতে নির্মিত পত্নীতলা ইউনিয়নের শম্ভুপুর প্রাইমারী স্কুল, আজো কালের সাক্ষী হয়ে আছে ।
দাদার মুখে শুনেছি, বিয়ের আগে তাঁর বাবার সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হয়। দাদা রাগ করে বাড়ি ছেড়ে শম্ভুপুর গ্রামে চলে যান। গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন সামান্য বেতনের বিনিময়ে। পরবর্তীতে ওই গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। দাদার বাবা (প্রপিতামহ) শত চেষ্টা করেও তাঁর ছেলে (আমার দাদা) কে শম্ভুপুর থেকে আমাইপুকুর আনতে পারেননি। একাধারে চার বছর বাড়িতে আসেননি দাদা। পরে গ্রামের অনেকের অনুরোধে চার বছরের জমানো বেতনের টাকা নিয়ে বাড়িতে আসেন দাদা। সেই টাকা দিয়ে বিয়ের আগে নিজের নামে পাঁচ বিঘা জমি কিনেন এবং এরমধ্যে দুই বিঘা জমি শম্ভুপুর মসজিদের নামে দান করেন। আমাদের গ্রাম থেকে শম্ভুপুরের দূরত্ব দক্ষিণে চার মাইল। দাদা শম্ভুপুর এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।
চলমান ………………………….