বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা। ২০১৯ সালে তিনি এই গৌরব অর্জন করেন। টানা চার বার ফিফা রেফারি ব্যাজ পেয়েছিলেন সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার। ২০২৪ সালের জন্য ফিফা রেফারি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় এবার জয়া বাদ পড়তে যাচ্ছেন।
আজ সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রেফারিদের দ্বিতীয়বারের মতো ফিটনেস পরীক্ষা হয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জয়া দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও ফিটনেসে পাশ করতে পারেননি। ফলে ফিফা রেফারি হিসেবে তার নাম যাচ্ছে না এমনটাই জানালেন রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তৈয়ব হাসান, ‘আজ পরীক্ষার পর আমাদের রেফারিজ কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে শুধু উত্তীর্ণদের নামই ফিফায় প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ক্ষেত্রে অনিয়মের মতো রেফারিং সেক্টরও ছিল। বিগত অনেক সময় ফিটনেসে ফেল করাদের নাম ফিফায় পাঠিয়েছে বাফুফে। গত বছরই জয়া পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও বাফুফের এই রেফারিজ কমিটিই নানা চাপে তার নাম ফিফায় পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল।
গত ৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রথম দফা রেফারিদের ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় ৬ জন পুরুষ রেফারি ও সহকারী পুরুষ রেফারি পাস করেন। রেফারির কোটা চারটি হওয়ায় দুই জন (সবুজ ও জসীম) বাদ পড়েছেন। সহকারী রেফারির কোটা অনুযায়ী ৬ জনই পাস করলেও একজনের পাসপোর্ট না থাকায় আজ আবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সহকারী রেফারিদের মধ্যে একজন পাস করেছেন।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিফায় রেফারি, সহকারী রেফারিদের নাম প্রেরণ করতে হবে। বাফুফে একদিন আগেই তালিকা প্রেরণ করবে বলে জানালেন তৈয়ব হাসান, ‘রেফারি ও সহকারী রেফারির তালিকা চূড়ান্ত করে আগামীকাল আমরা প্রেরণ করব।’ নারী ফিফা রেফারি জয়া ব্যর্থ হলেও সহকারী রেফারি সালমা ফিফার তালিকায় থাকছেন। তিনি বিদেশে এএফসির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় দেশে আর আলাদা করে পরীক্ষা দিতে হয়নি।