বিওয়াইডি বাংলাদেশে নিজেদের বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাটো ৩ লাইন-আপ নিয়ে এসেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির অ্যাটো ৩ ইলেকট্রিক এসইউভি লাইন-আপে রয়েছে স্পোর্টি ও অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন, যা ব্যবহারকারীর জীবনে যোগ করবে নতুন মাত্রা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উন্মোচন করা অ্যাটো ৩ প্রি-বুকিং চলাকালে দেশের এসইউভি ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ দু’টি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে – স্ট্যান্ডার্ড রেঞ্জ ও এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। ব্যবহারকারী-বান্ধব ফিচার ও চমৎকার অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যসহ দুর্দান্ত ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে এই দুই ভ্যারিয়েন্টেই। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরও সাচ্ছন্দ্যদায়ক করবে অ্যাটো ৩ -এর চমৎকার সেন্ট্রাল কনসোল। বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ স্ট্যান্ডার্ড রেঞ্জ ফুল চার্জে ৩৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যাবে, দাম ৪৯,৯০,০০০ টাকা। অন্যদিকে, বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ফুল চার্জে যেতে পারবে ৪২০ কিলোমিটার পর্যন্ত, দাম ৫৫,৯০,০০০ টাকা।
বিওয়াইডি অ্যাটো ৩’র মাল্টি-কালার লাইটনিং সিস্টেম, যা গাড়ির ভেতরের অভিজ্ঞতায় যোগ করবে এক অনন্য মাত্রা। এছাড়াও, এই এসইউভি’র প্যানোরামিক স্লাইডিং গ্লাস রুফ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে এক নতুন স্তরে। এই গাড়ির আরগোনোমিক স্পোর্টস সিট টেকসই ভিগান লেদারে তৈরি। এর সামনের সিটগুলো খুব সহজেই বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই গাড়িতে আছে ই-প্ল্যাটফর্ম ৩.০। এতে ব্লেড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু স্টাইল ও স্বাচ্ছন্দই নয়; পারফরম্যান্সের ওপরেও গুরুত্ব দিয়ে বিওয়াইডি অ্যাটো ৩তে একটি ১০০ কিলোওয়াট মোটর, যা গাড়ির গতি প্রতি ঘণ্টায় ০ থেকে ১০০ কিলোমিটারে তুলে নিবে মাত্র ১০.১ সেকেন্ডে! ইউরো এনসিএপি (ইউরোপিয়ান নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম) থেকে ৫-স্টার রেটিং পাওয়া এই গাড়িতে নিরাপত্তা নিয়ে কোন চিন্তাই নেই।
বিওয়াইডি’র মার্কেটিং ও ক্যাটেগরি ডেভেলপমেন্ট হেড ইমতিয়াজ নওশের বলেন, “বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রিক গাড়ির ভক্তদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করা বিওয়াইডি অ্যাটো ৩ বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের উন্নত জীবনধারার সাথে অভ্যস্ত করে তুলতে উদ্ভাবন, স্টাইল ও নিরাপত্তার অসাধারণ সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাটো ৩ ইলেকট্রিক এসইউভি। দেশের গ্রাহকদের জন্য উন্নত ও নিরাপদ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চাই আমরা। কার্বন নিঃসরণ কমানো ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই এনইভিগুলোর মাধ্যমে কাজ করে যাবে বিওয়াইডি।”