আসমাউল আসিফ : জামালপুরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের পলাতক ইনচার্জ রানী রহমান ও ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার এক দফা দাবীতে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি শুরু করে।
সকালে কলেজের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাডেমীক ভবনে প্রবেশ করলে তাদের ভেতরে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থী মিশন ইবেন সিরাজ, শাপলা, হালিমা জান্নাত, লাভলুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজের ইনচার্জ রানী রহমান কোন হিসাব না বুঝিয়ে পদত্যাগ করে কলেজে অনুপস্থিত থেকে পলাতক রয়েছেন। এরপর থেকে ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামও কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের হোস্টেলে থাকা ও খাওয়ার জন্য কোন বরাদ্দ না হওয়ায় আমাদের খাবারের কষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি পাড়াশোনাসহ বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে রানী রহমান ও সাইফুল ইসলামকে স্বশরীরে উপস্থিতি হয়ে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সামনে ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ রঞ্জনা থিগিদীর নিকট হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার দাবী জানান শিক্ষার্থীরা। তবে এ সময়ের মধ্যে তারা কেউ কলেজে উপস্থিত না হওয়ায় সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জলন ও রাত দখলের কর্মসুচি ঘোষণা করে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে জামালপুর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ রঞ্জনা থিগিদী জানান, শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবন থেকে বের হতে দিচ্ছে না। ইনচার্জ রানী রহমান পদত্যাগপত্রে আমাকে ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি আমাকে কোন দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা যেসব দাবী জানাচ্ছে তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি রানী রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন যখন কাউকে ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পত্রজারি হবে তখন আমি তার নিকট সব হিসাব ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দিব।
তবে এ ব্যাপারে রানী রহমান ও ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা ও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।