জামালপুরে সেফটিক ট্যাংক থেকে নৈশ্যপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুরে নির্মানাধীন একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলার সেফটিক ট্যাংক থেকে চাঁন মিয়া (৬৫) নামে এক নৈশ্যপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের বিসিক শান্তিনগর বাইপাস মোড় সংলগ্ন নির্মানাধীন ওই ভবনের নিচতলা থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত চাঁন মিয়া জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের গওহেরপাড়া গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় দোকান মালিক সমিতির উপদেষ্টা এনামুল হক খান মিলন জানান, গত একমাস আগে চাঁন মিয়া দোকান মালিক সমিতির অধীনে নৈশ্যপ্রহরীর কাজ নেন। আজ শুক্রবার সকালে নির্মানাধীন ভবনের নিচতলায় সেফটিক ট্যাংকে নৈশ্যপ্রহরী চাঁন মিয়াকে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, অরক্ষিত অবস্থায় ভবনের নির্মান কাজ করায় যথাযথ নিরাপত্তার অভাবে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে নৈশ্যপ্রহরীর মৃত্যুর ঘটনায় ভবন মালিকের কাছে আমরা দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতিপুরণ দাবী করছি। এদিকে, নির্মানাধীন ওই ভবনের মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
সঙ্গীয় অপর নৈশ্যপ্রহরী সদর উপজেলার কৈডুলা গ্রামের ঠান্ডা মিয়া (৫৫) জানান, প্রতিদিনের মত তারা দুইজন নৈশ্যপ্রহরী বৃহস্পতিবার রাতে টহল শুরু করেন। তবে ভোররাত ৪টার দিকে টহলের উদ্দেশ্যে তারা আলাদা হয়ে দুইদিকে চলে যায়। পরে ঠান্ডা মিয়া বিসিক মোড়ে ফিরে এসে ভোর ৬টা পর্যন্ত অনেক খোজাখুজি করেও চাঁন মিয়াকে সে আর খুজে পায়নি। তিনি আরও জানান, আমরা আলাদা হওয়ার পর বিসিক মোড়ের একটি হোটেলে সে রুটি খেয়েছে, তারপর আর কেউ তাকে দেখেনি।
জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে তিনি সেফটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কেউ জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা না হলে পরিবারের সাথে কথা বলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।