বেশ অনেকটা দিন থেকেই মাঠের ক্রিকেটে নেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজের পর থেকেই বিশ্রামে আছেন অজি তারকারা। সেই সিরিজেও নিয়মিত দলের সকলেই ছিলেন না। নভেম্বরে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আগে বলতে গেলে তাদের সামনে অখণ্ড অবসর। কিন্তু, ভারতের বিপক্ষে সেই সিরিজটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ প্রেস্টিজিয়াস।
সেই সিরিজের জন্য এবার বলতে গেলে বিরল এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক এবং স্টিভেন স্মিথ। দীর্ঘদিন পর দুজনেই ফিরে যাচ্ছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের চারদিনের ক্রিকেটের আসর শেফিল্ড শিল্ডে খেলতে নাম লিখিয়েছেন দুজনে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতেই দুজনে ফিরছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের এই সূচিতে।
২০২১ সালের পর থেকে স্টিভ স্মিথ এবং মিচেল স্টার্ককে কোনো ঘরোয়া আসরে দেখা যায়নি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে ৩ বছরের পর আবার ফিরছেন শেফিল্ড শিল্ডের হয়ে। সেই হিসেবে তাদের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিরল’ বলেই উল্লেখ করছে অনেক গণমাধ্যম। দুজনেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নামবেন নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে।
যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ থাকবে ভিক্টোরিয়া। স্টার্ক-স্মিথের সঙ্গে দলে থাকবেন ময়সেস হেনরিকেস, শন অ্যাবট এবং ন্যাথান লায়নের মতো বড় নামেরাও। প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউড অবশ্য শিল্ডের এই সূচিতে থাকছেন না। তবে এই দুই পেসার অক্টোবরের ২৫ তারিখ থেকে ওয়ানডে কাপের ম্যাচে নামবেন।
প্যাট কামিন্স এর আগে বলেছিলেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজে পুরো মনোযোগ দিতে লম্বা ছুটি নেবেন তিনি। কিন্তু সেই কথা থেকে সরে এসেছেন নিজেই। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আগে নিজেকে পরখ করে দেখতে চান অজি অধিনায়ক।
শন অ্যাবট ফিরছেন ইনজুরি কাটিয়ে। অন্যদিকে ন্যাথান লায়ন আগে থেকেই নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন লাল বলের ক্রিকেটে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত করেছেন এই অফ-স্পিনার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে অজি ক্রিকেটারদের মাঝে লায়নকেই কথার যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে ভিক্টোরিয়াতে থাকতে পারেন স্কট বোল্যান্ড। ইনজুরির কারণে বেশ অনেকটা দিনই মাঠের খেলার বাইরে ছিলেন এই পেসার। শেফিল্ডের মাধ্যমে নিজেকে পরখ করে নিতে চান তিনিও।