বন্দিবিনিময় চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি

ভারতের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ২০ দফা দাবি পেশ করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি গুলো হলো, রাষ্ট্রপতি শাহাবউদ্দিনকে অপসারণ, দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ করা বিচারপতিদের অপসারণসহ অতীতের দুষ্কৃতপরায়ণ সব সিইসি ও সঙ্গীয় অপরাধী ইসিদের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেড় হাজারের বেশি ছাত্রজনতাকে হত্যা এবং গত ১৬ বছরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গুম, সংঘবদ্ধভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে পতিত স্বৈরাচার হাসিনাসহ তার সঙ্গী ও দোসরদের বন্দিবিনিময় চুক্তি মেনে ভারত থেকে দেশে এনে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

সংগঠনের নেতারা বলেন, সংবিধান থেকে জনকল্যাণবিরোধী সব ধারা-উপধারা বাতিল-পূর্বক গণমুখী সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মর্মে আইন প্রণয়নসহ একই ব্যক্তি একই মেয়াদকালে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না। দেশের কোনো নির্বাচনী এলাকায় দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী, ভোটারদের কাছে আস্থাশীল না হলে ‘না ভোট’ প্রয়োগের ব্যবস্থা সংবিধানে রাখতে হবে।

সংগঠনটির দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের’ স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ করতে হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাতিল করে শাস্তির আওতায় আনা এবং এভাবে সরকারি চাকরি গ্রহণকারীদের অপসারণসহ প্রদত্ত অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি সব চাকরিজীবীর পেনশন প্রথা বাতিল করতে হবে। কারণ বেসরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের সুযোগ নেই। এ ছাড়া বেকার জনগোষ্ঠী সারাজীবন আয়-রোজগারহীন থাকেন।

সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের সভাপতি মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার বলেন, ফ্যাসিজমের আমলে যে অরাজকতা ছিল, সেটা যেন আবার শুরু না হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, নতুন করে আবার চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা সময় নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার করুন, তারপর নির্বাচন দিন। যেন যেই লাউ, সেই কদু না হয়।