মেলান্দহে শত শত মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো লগি-বইঠার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

Oplus_131074

মোহাম্মদ আলী : ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর ফুলতলা বাজারে দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুবেরী ও চাঁনের নেতৃত্বে লগি-বইঠার তান্ডবে দোকানপাট ভাঙ্গচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শত শত মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো জোরালো প্রতিবাদ! এদিন তারা ফুলতলা বাজারে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ৫ অগাস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসরদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গত শনিবার, মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপুর সভাপিতত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, জামালপুর -৩ (মেলান্দহ -মাদারগঞ্জ) সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী, মোস্তাফিজুর-রহমান-বাবুল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর ( দক্ষিণ ) সবুজবাগ থানার ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, এ,কে,এম আশরাফুজ্জামান খান (বড় লিটন)। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, আনোয়ার কবির শ্যামল তালুকদার, রফিকুল ইসলাম রহিম, সদস্যসচিব, নুরুল আলম সিদ্দিক, পৌর বিএনপির সভাপতি, মনোয়ার হোসেন, কুলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান, ফজলুল রহমান। আওয়ামী লীগের দুঃসাশনের শিকার, কারানির্যাতিত, সাবেক ছাত্রনেতা, রহিমুজ্জামান রুকন তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের ১৮ বছরে দুরমুঠে আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমরা মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছি, অপরাধ না করেও কারাভোগ করেছি, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হয়েছে, ঘরে থাকতে পারি নাই। আমার একমাত্র মোটরসাইকেলটিও তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক যুবনেতা, তৌহিদুল হাসান রাকিবসহ উপজেলা বিএনপি ও ইউনিয়ন-বিএনপি’র সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।