বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, একটা কথা কঠিন মনে হলেও বলতে হয়, ড. ইউনূসের মামলা যদি একদিনে প্রত্যাহার হতে পারে তাহলে কেন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার হবে না? আজকের বাস্তবতায় যেমনি এই সরকারকে দরকার, ঠিক তেমনিভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যদি রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয় তাহলে তারেক রহমানকেও দেশে দরকার।
আজ (রোববার) প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সকল রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগ্রত বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।
আব্দুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আজ ইউনূস সরকারকে ট্রাফিক জ্যামে ফেলে দিয়েছে। সেই জ্যামে পড়ে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনটা আগে করবে কোনটা পরে করবে এখন পর্যন্ত এটাই ঠিক করতে পারছে না। এটাতো সবচেয়ে লজ্জার ব্যাপার যে ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা আহত হলো, পঙ্গু হলো… তাদের তিন মাসের ব্যাবধানে এসে প্রতিবাদ জানাতে হল। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য তো আর কিছু নেই। দুর্ভাগ্য হলো তারা (সরকার) কোনটা আগে করবে কোনটা পরে করবে; তাদের চিকিৎসা না করে তারা (সরকার) ঘোষণা দিচ্ছে আড়াইশ স্টেডিয়াম করতে হবে বাংলাদেশে। এই দায়িত্ব তাদের? তাদের দায়িত্ব হলো একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, জনজীবনের দিকে দৃষ্টি দেন। স্টেডিয়াম একটা লং প্ল্যান। একবছরে পারবেন না, অনেক বছর লাগবে। চাল ডাল তেল পানির দাম কমানো যায় কি না সেদিকে দেখেন। সামনে রমজান আসছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেদিকে নজর দেন। টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের লাইন লেগেছে। আমি দেখলাম ট্রাকও যাচ্ছে মানুষও তার পেছনে দৌড়াচ্ছে। আলামতটা ভালো না। দৃষ্টিটা ওইদিকে দেন। নির্বাচনের দিকে দেন আর ইমিডিয়েট যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ ডেঙ্গু, যানজট এগুলো কিভাবে কমাবেন সেদিকে নজর দেন। স্টেডিয়াম বানাতে যায়েন না, ৫০ ওয়ালা পরিকল্পনা নিয়েন না। শেখ হাসিনাও ৪২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল। তাই আজকে যেটা দরকার সেটা করেন আর শর্ট করে আনেন। কর্মসূচি কমিয়ে আনেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি মো জহিরুল ইসলাম কলিম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।