২৬ নভেম্বরে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের একটি মামলায় জামিন আবেদন চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নামঞ্জুর হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় চিন্ময় কৃষ্ণর ভক্তরা আদালত প্রাঙ্গণে তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, একটি বিচারাধীন বিষয়ে চিন্ময় কৃষ্ণের ভক্তদের এই আচরণ শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয় যা কল্পনারও অতীত। তারা একটি নির্মম পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের ঘটানাও ঘটিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, আদালত চত্বর এলাকায় রঙ্গন কমিউনিটি সেন্টার হলের গলিতে এপিপি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে ইসকন সদস্যরা। পরে তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে মেজর মান্নান বলেন, ‘যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ। এই ঘটনা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে একটি গভীর চক্রান্ত। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মেজর মান্নান আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম জজ আদালতের এপিপি তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। ছাত্র-জনতা ও জনগণকে যেকোনো উসকানিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ধৈর্য ধারণ এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবী স্বরূপ কান্তি নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। বুধবার এটি শুনানির জন্য রয়েছে। (প্রথম আলো, ২৬ নভেম্বর)