শেরপুরে প্লাস্টিকের আসবাবপত্রের কারণে এতিহ্যবাহী মৃৎশ্লিপ বিলুপ্তির পথে

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নকলা ও নালিতাবাড়ি উপজেলার এতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে। শেরপুরে তিন যোগ আগেও মৃত শিল্পের হাতে তৈরী নিবিড় কারু কাজ নানা রকমের আসবাব পত্রে বাজারে ছিল সয়লাভ। কালের পরিবর্তনে প্লাস্টিক আসবাব পত্রের কারণে মাটির তৈরী সরঞ্জাম দিন দিন বিলুপ্তি হচ্ছে। শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় মাটির তৈরী আসবাবপত্র ও শিশুদের খেলনা প্রত্যেকের ঘরের সৌন্দর্য রক্ষার্থে শোভা পেত। যুগের পরিবর্তনে মাটির তৈরী ,হাড়ি পাতিল, মাটির ব্যাংক, গাদলা, চুলা, ডাকনা, ফুলের টব সহ নানা জাতের মৃৎ শিল্প এখন বাজারে প্লাস্টিকের সরঞ্জাম আমদানির ফলে মাটির তৈরী আসবাবপত্র ক্রয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রায়ই জনতা। শিশুদের মাটির তৈরী নানা প্রকারের খেলনা ক্রয়ক্ষমতার মধ্য থাকলেও এখন বাজারে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই প্লাস্টিক ও চায়না খেলনা ক্রয় করতে হচ্ছে বাজার থেকে। মৃৎ শিল্প কয়েকটি আসবাবপত্রের চাহিদা বাজারে থাকলেও শিল্পীরা মাটি, লাকড়ি ও অন্যান্য জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের চাহিদা মতো আসবাবপত্র তৈরী করতে পারছে না। জমিজমা না থাকার ফলে তাদের বাপ দাদার পেশা হিসাবে পাল পরিবাররা এ একাজ ধরে রেখেছেন অনেকেই। তাদের ছেলে মেয়েরা যেন এ কাজ না করে তা আক্ষেপ করে বলেন আমাদের পৃষ্টপোষকতা ও সরকার দৃষ্টি না দিলে মৃৎ শিল্প মৃত হয়ে যাবে বলে তারা জানান। নিরঞ্জন পাল, ভোলানাথ পাল সহ এলাকাবাসীরা জানান, ঐতিহ্যবাহী শেরপুরের মৃৎ শিল্প দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। পালাস্টিকের আসবাব পত্র ও চিনদেশের সরঞ্জাম আমাদানির ফলে মৃৎ শিল্প বিলুপ্তি হচ্ছে। এ শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া জরুরী ও কারিগরদের আর্থিক সহায়তা দাবি করে বলেন মাটির তৈরী জিনিসপত্র ব্যবহার করার জন্যে সকলকে সচেতন করতে হবে। বাপ দাদার পেশা হিসাবে আমরা কষ্টে ধরে রেখেছি অন্য কোন কাজ পারি না তাই এখন সিমিত আকারে কয়েকটি প্রকারের মাটির জিনিস বানিয়ে থাকি। শেরপুরের মানুষ এখনও মাটির কিছু জিনিসপত্র ব্যবহার করে তা আগের মতো অহরহ নয় অপ্রতুল। ব্যবহারের উপযোগী করে তুলে মৃৎ শিল্পকে ভবিষ্যৎ পজন্মকে ধরে রাখার জন্যে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল জানান, তাদের পৃষ্টপোষকতা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তারা কেউ আসলে সরকারি ভাবে শিল্পকে বাঁচাতে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিন যোগ আগেও মানুষের আবাসস্থল , অফিস আদালতে মাটির তৈরী মৃৎ শিল্পের দেখা পাওয়া গেছে। এ শিল্পকে বাচাঁতে কিছু উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন জানিয়ে বলেন মাটির তৈরী সকল কিছু ব্যবহার করা নিরাপদ। আধুনিক যুগে নানা রকমের সরঞ্জাম বাজারে আসার ফলে এ শিল্পের কদর হারাচ্ছে। এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেন জানান। ঐতিহ্যবাহী মৃত শিল্পকে ধরে রাখার জন্যে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনি প্রত্যাশা এই শিল্পে জড়িত শিল্পী ও শেরপুরবাসীদের।