ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে আজ (শুক্রবার) থেকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের প্রথম ওভারেই ছয় হাঁকিয়ে বিরল রেকর্ড গড়েছেন ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন কীর্তি দ্বিতীয়বার দেখা গেলেও, কোনো পেসারের বলে ক্রাউলি প্রথম এই রেকর্ড গড়েছেন।
ক্রিকেটার অভিজাত ও দীর্ঘতম সংস্করণ টেস্টের প্রথম ওভারটিকে বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত ব্যাটিংয়ে থাকা দলগুলো প্রথম কয়েক ওভার দেখেশুনে শুরু করে। যেখানে এখন পর্যন্ত দুইবার প্রথম ওভারে ছয় হাঁকানোর নজির দেখা গেছে। তার একটি ঘটল আজ। কিউই পেসার টিম সাউদির করা প্রথম ওভারে শুরুর দুই ডেলিভারি দুই রান করে নেন ক্রাউলি।
পরবর্তীতে তিনটি বল ডট দিয়ে সাউদির ষষ্ঠ ডেলিভারিতে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারেন ইংলিশ ওপেনার। ইংল্যান্ডের জন্য যদিও শুরু থেকেই এমন কাউন্টার অ্যাটাকিং মনোভাব বর্তমানে স্বাভাবিক। কারণ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীন ইংলিশ দলটি বাজবল ঘরানার খেলায় টেস্ট ক্রিকেটের চিরাচরিত রূপই বদলে ফেলেছে। তবে টেস্টের প্রথম ওভারে কোনো পেসারের বলে ছয় হাঁকানোর রেকর্ডটি প্রথম গড়লেন ক্রাউলি।
এর আগে টেস্টের প্রথম ওভারে ছয় মারার একমাত্র রেকর্ডটি ছিল ‘ইউনিভার্স বস’-খ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ক্রিস গেইলের। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ছিল প্রথম, সেই রেকর্ডটি তিনি গড়েন স্পিনারের বলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালে মিরপুর টেস্টে সোহাগ গাজীর প্রথম ওভারে ছয় হাঁকান গেইল। সেই ম্যাচটি আবার টাইগার স্পিনারের অভিষেক টেস্ট ছিল। ওই ওভারে দুই ছয়সহ ১৪ রান করেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। তবে ২৪ রান করে সোহাগ গাজীর বলেই আবার আউট হন গেইল।
এদিকে, ক্রাউলিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তার ইনিংস থেমেছে ২৩ বলে ১৭ রান করে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না ডানহাতি এই ইংলিশ ওপেনার। এরপর ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডও চাপে পড়ে যায়। তবে হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সফরকারীরা সেই চাপ সামলে উঠে ইনিংস শেষে। ব্রুকের ১২৩ এবং ওলি পোপের ৬৬ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। কিউই পেসার নাথান স্মিথ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
অন্যদিকে, প্রথমদিন শেষ হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। ৮৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিক টম ল্যাথামের দল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে কেইন উইলিয়ামসনের ব্যাটে। এ ছাড়া বলার মতো রান পাননি আর কেউই। ফলে আগের টেস্ট হেরে পিছিয়ে পড়া কিউইদের নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় টেস্টেও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে! ইংলিশদের পক্ষে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ব্রাইডন কার্স।