ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর সেনা মোতায়েন নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি ব্রাসেলসে গিয়েছিলেন।
আর সেখানে ইইউ শীর্ষবৈঠকে নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই শীর্ষবৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেন ইউক্রেনে সেনা পাঠায়। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর নেতারা এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। তারা বারবার বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ুক, তা তারা চান না।
তবে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শান্তির পথে যেতে গেলে এটা জরুরি।”
জেলেনস্কি আরও বলেছেন, “আমরা মনে করি, শান্তির জন্য কিছু নিশ্চয়তা থাকা দরকার।”
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে শীর্ষবৈঠকের আগে বলেছেন, “ইউক্রেনের যা দরকার, সেটা তাদের দেওয়াটা জরুরি। তাহলেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধে জিততে পারবেন না।”
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কীভাবে হতে পারে, তা নিয়ে রুটে কোনও কথা বলেননি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি ত্বরান্বিত হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, “ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সামরিক সহায়তা দেওয়া দরকার। ইউক্রেনের জানানো দরকার, শান্তিচুক্তিতে তারা কীভাবে পৌঁছাতে চায়।”
শলৎস মনে করেন, ইউক্রেনের ওপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, ইউক্রেন নিয়ে একসঙ্গে একটা ইতিবাচক নীতি নিয়ে চলা সম্ভব হবে।”
শলৎস সম্প্রতি আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে জার্মানিতে নির্বাচন হবে।