চা বিক্রেতা নুরজামাল সরকারী চাকুরির বদৌলতে অর্ধশত কোটি টাকার মালিক

বিশেষ প্রতিনিধি: নওপাড়া  ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী (পিওন) নুরজামাল ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে এখন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক। তিনি নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।বর্তমানে নড়িয়া উপজেলার  নওপাড়া ইউনিয়নের ভূমি অফিসের অফিস সহকারী (পিওন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না নুরজামাল। ঘুষ বাণিজ্য করে তিনি হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। তার রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যের বাড়ি, জমি।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, চাকুরি হওয়ার আগে মামার দোকানে চা বিক্রি করতেন এই নুরজামাল।চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হওয়া সত্বে ও  তিনি হয়েছেন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক । বানিয়েছেন লক্ষ টাকার বাড়ি। তিনি নিজ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিজের নামে জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন কৃষকের নানা অভিযোগ।

তার গ্রামের অনেকেই নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, নুরজামালের বাবা ছিলেন একজন গরীব দিনমজুর। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো তাদের।নুরুজামাল ও তার পিতা তার মামার  দোকানে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন । ভূমি অফিসে চাকরি করার সুবাদে         বর্তমানে তিনি অর্ধশত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণীর একজন কর্মচারী থাকা অবস্থায় অঢেল টাকা পয়সা ও সম্পত্তির মালিক হওয়ায় বিস্মিত এলাকাবাসী। তারা আরও জানান নওপাড়া ইউনিয়নের এক জনের জমিন আরেক নামে বন্দোবস্ত করে দিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন নুরজামাল ।অনেক অসহায় কৃষককে পথের ফকির বানিয়েছেন এই নুরজামাল ।এলাকাবাসি তার সরকারি চাকুরি বাতিল চান ।

প্রসঙ্গত, যোগদানের পর থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন নুরুজ্জামান। নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলে ঘুষ নিচ্ছেন তিনি। দুর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্য করে বারবার রেহাই পাওয়ায় তিনি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।আওয়ামীলীগের সময় এনামুল হক শামীমের পক্ষ হয়ে সরাসরি নির্বাচনের প্রচার করেছেন।এলাকার লোকজন ভূমি সংক্রান্ত কোন বিষয় তার কাছে জানতে চাইলে লোকজনকে সব সময় বলতেন সব জানে বড় স্যার আনোয়ার সাহেব।