জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে নকল ও জাল ব্র্যান্ড্রোল ব্যবহারে বিড়ির কারখানা

নিজস্ব সংবাদদাতা : জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নকল ও জাল ব্র্যান্ড্রোল ব্যবহারকারী ময়না বিড়ি, আনছার, শান্ত, রতœা, আশিক, শাহী, সাঈদ, মটর, রেডিও, হালিম, বাদশা বিড়ি -২ প্রোপাইটার হজরত আলী বাঘা, পরিচালনাকারী তার পুত্র কামরুল বাঘা, ও আলম বিড়ির প্রোপাইটার-আমিনুর ইসলাম, বছরের পর বছর ধরে প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিড়ি তৈরী করে নকল এবং জাল ব্র্যান্ড্রোল ব্যবহার করে তা বাজারজাত করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জামালপুর জেলার বিভিন্ন থানার হাট বাজার গুলোতে সরোজমিন প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ময়না বিড়ি, আনছার, শান্ত, রতœাসহ বাদশা বিড়ি-২ ও আলম বিড়ির নামের বিড়ির প্রতিষ্ঠানদ্বয়, প্রতি প্যাকেট ১০ দশ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানাগেছে, যেখানে এক প্যাকেট বিড়ির সরকার নির্ধারীত বিক্রয় মূল্য ১৮ আঠারো টাকা আর এই বিক্রয় মূল্যের উপর সরকারকে ভ্যাট, টেক্স, স্বাস্থ্য খাতের ভর্তুকী সহ রাজস্ব দিতে হয় প্রায় ৯.০৭ নয় দশমিক শূণ্য সাত টাকা।
এছাড়া বিড়ি তৈরী কাঁচামাল যেমন কাগজ, তামাক, মজুরী ইত্যাদি তো রয়েছেই, সেখানে এসব খরচের পরও কিভাবে তারা বাদশা বিড়ি-২, আলম সহ ময়না বিড়ি, আনছার, শান্ত, রতœা, আশিক, শাহী, সাঈদ, মটর, রেডিও, হালিম জেলার বিভিন্ন বাজারে দশ টাকা প্যাকেট দরে বিক্রি করে আসছে।
এই ব্যাপারে স্থানীয় ভ্যাট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন – এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বা ব্যবস্থা নিবেন কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এসব অসাধু বিড়ি কারখানার মালিকদের বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে কম টাকায় বিড়ি বিক্রয় করা তৈরী ব্রান্ড্রোল ব্যবহার করে তা বাজার জাত করায় সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।