বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে প্রথম লেগের শেষ ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে মোহামেডান। টানা আট জয়ের পর আজই (শুক্রবার) লিগে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ গ্রহণ পেল সাদা-কালো জার্সিধারী। শেষ ম্যাচে হারলেও মোহামেডান ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে এককভাবে শীর্ষেই থাকছে।
মোহামেডান আশির দশকে ১৯৮৬-৮৮ অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন ছিল। সেই সময়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি টানা ৭৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর ফকিরেরপুলের বিপক্ষে হেরে সেই রেকর্ড শেষ হয়। এবার মোহামেডানের লিগে অপরাজিত থাকার পথচলাও শেষ হলো সেই ফকিরেরপুলের কাছে হেরে। পেশাদার ফুটবল লিগে এবারই প্রথম খেলছে ফকিরেরপুল।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ ড্র ছিল। এর আগে প্রথমার্ধের শেষদিকে গোলরক্ষকের ভুলে সুযোগ পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। আচমকা পাওয়া সুযোগ লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মালির এই ফরোয়ার্ড। ২৪ মিনিটে ফকিরেরপুলের দারুণ সুযোগ নষ্ট হয়।
৬২ মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন মনসুর কুলদিয়াতি। বক্সে অরক্ষিত থাকলেও বুরকিনা ফাসোর এই ফরোয়ার্ড সেটি মিস করেছেন। তিন মিনিট পর মোহামেডান সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেয় ফকিরেরপুল। আকবির তুরায়েভের সঙ্গে একবার বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের বেশ বাইরে থেকে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার সারদোর জাহোনোভের বুলেট গতির শট জালে আঘাত করে। লাফিয়েও নাগাল পাননি মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন। ৭৪ মিনিটে মোহামেডানের সৌরভের শট গোললাইন থেকে ফেরান নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার সেগুন টোপে ওডুডোয়া।
ইনজুরি সময়ে মোহামেডান ম্যাচে সমতা ফেরার চেষ্টা করে। একাধিক কর্নার আদায় করলেও গোল পায়নি তারা। বিপরীতে ফকিরেরপুলের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক কয়েকটি আক্রমণ রুখে দেয়। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সাদা-কালোদের।
মোহামেডানের পর টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ব্যবধান ছিল পাঁচ পয়েন্ট। আগামীকাল আবাহনী ব্রাদার্সকে হারালে ব্যবধান কমে দুই হবে। মোহামেডানকে হারানো ইয়ংমেন্স তৃতীয় জয়ে ৯ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে।