দেখার নেই কেউ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দেওয়ানগঞ্জ রেল ষ্টেশন ছাপড়া ঘরে চলে কার্যক্রম

hdr

দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি : যেন দেখার কেউ নেই। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেল ষ্টেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে টিনের চালা ঘরে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে এ ষ্টেশনের। এ রেল ষ্টেশনে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, নেই বিশ্রামাগার, নেই কোনো বাউন্ডারী। ষ্টেশনের চারিধারে আবর্জনার স্তুব জমে আছে। নেই প্রতিদিন তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টাকা সংরক্ষণের সু-ব্যবস্থা। যে কোনো দিন, যে কোনো সময় ষ্টেশন মাস্টারের নিকট গচ্ছিত রাখা টিকিট ও টিকিট বিক্রির নগদ টাকা বেহাত হয়ে যেতে পারে। দেওয়ানগঞ্জ বাজার ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ আব্দুল বাতেন নয়াদিগন্তকে জানান, মান্ধাতা আমলের ষ্টেশন ভেঙ্গে ফেলে মডেল রেল ষ্টেশন নির্মাণের অযুহাত দেখিয়ে ২০২১ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয় পুরানো সব ভবন। আগেকার ডিজাইনেই ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও পরিবর্তন করা হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত। ষ্টেশনের পুরো ভবন রাত দিন কাজ করে ভেঙ্গে ফেলে কিছু দিনের মধ্যেই লাপাত্তা হয়ে যায় ঐ কাজের ঠিকাদার। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, ষ্টেশন নির্মাণের নতুন নকশা অনুমোদনের পর টেন্ডারে গেলে তারপরে নতুন ষ্টেশন নির্মাণে আশা করা যায়। এর আগে কোনো সম্ভবনা দেখছি না। এস.এম আব্দুল বাতেন আরো জানান, দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা পথে প্রতিদিন তিস্তা ব্রহ্মপুত্র ২টি এক্সপ্রেস সহ ৫টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। ষ্টেশন ভবন না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এখানে বিশ্রামাগার সহ অনেক প্রয়োজনীয় যাত্রী সুবিধা নেই। বিশেষ করে প্রতিদিনের বিক্রিত টিকেটের অর্থ সংরক্ষণ বা নিরাপদে রাখার সুযোগ নেই। নেই গচ্ছিত টিকিট সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা। এসএম,এএসএম সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তাদের নেই কোনো প্রয়োজনীয় অফিস। যাত্রী সাধারণের সীমাহীন সমস্যা ও অসুবিধা যেন দেখার কেউ নেই। এ অবস্থা চলে আসছে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে।