শনিবার বইমেলার সময় পরিবর্তন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে শনিবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বইমেলা শুরুর সময়। এদিন সকাল ১১টার পরিবর্তে দুপুর ২টার শুরু হবে অমর একুশে বইমেলার কার্যক্রম। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে সকাল ১১টার পরিবর্তে দুপুর ২টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। একই সঙ্গে সময় স্বল্পতার কারণে এদিন মেলায় থাকবে না পূর্বঘোষিত শিশুপ্রহর। তবে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জীবন ও কর্ম : সৈয়দ আলী আহসান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কবি মুহম্মদ আবদুল বাতেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন তারেক রেজা এবং মহিবুর রহিম। সভাপতিত্ব করবেন কবি আবদুল হাই শিকদার।

অন্যদিকে, আজ ছিল অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ২৫০টি। এছাড়া সকাল ১০টায় শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- আবৃত্তি শিল্পী নাসিম আহমেদ, আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা লাবণী পুতুল এবং অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর।

এরপর বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘আহমদ ছফার আগ্রহী যুবকেরা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাহমিদাল জামি। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নূরুল আনোয়ার এবং সাজ্জাদ শরিফ। সভাপতিত্ব করেন সলিমুল্লাহ খান।

প্রাবন্ধিক বলেন, আহমদ ছফা ছিলেন একই সঙ্গে চিন্তা ও কর্মের কর্তা। তার আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল জ্ঞানগত, রাজনৈতিক ও বহুবিধ। সমাজের এক বা একাধিক শ্রেণি কীভাবে বিশেষ রাজনৈতিক সংগঠনে নিজের বাসনাকে স্থাপন বা লগ্নি করে, সে বিষয়টি ছফার চিন্তায় বারবার এসেছে। আবেগকে ছফা সমাজ রূপান্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে শনাক্ত করেছেন। এই আবেগ মানবিক ও সংস্কারকামী এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক মেজাজের।

আলোচকরা বলেন, আহমদ ছফার জীবন ও সাহিত্যকে আলাদা করে দেখার উপায় নেই। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে তরুণদের মধ্যে যে রাজনৈতিক ও সামাজিক আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিল, তা তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। লেখালেখির মধ্য দিয়ে তিনি সমাজের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশের কোথাও আঘাত এলে আহমদ ছফা নিজের অন্তরে সে আঘাত অনুভব করতেন এবং প্রতিক্রিয়া দেখাতেন।

সভাপতির বক্তব্যে সলিমুল্লাহ খান বলেন, আহমদ ছফা অন্তদৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায় পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি ছিলেন সৎ-সাহসী একজন মানুষ। তিনি নিজে যেমন লেখালেখি করেছেন, তেমনি অনেক লেখকও তৈরি করেছেন।

লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কবি আসাদ কাজল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কবি চঞ্চল আশরাফ, কবি আসাদ
কাজল, কবি হিজল জোবায়ের, কবি তাসনোভা তুশিন, কবি সূনৃত সুজন, কবি নাজমা আহমেদ এবং কবি মো. শফিক-উল-ইসলাম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ফেরদৌসী বেগম, ইশিতা জাহান অর্ণা, শিমুল পারভীন এবং আবীর বাঙালি।