খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। ডায়রিয়া ছাড়াও জ¦র, পেটের পীড়া, সর্দি-কাশি, বুক ও শরীরের ব্যথা সহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভীড়ও লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যে শিশু ও বয়োবৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। ১০ মার্চ সোমবার দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গমণ করে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহসান হাবীব, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ বিপুল মিয়া সহ অন্যান্যদের সাথে। তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয় স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগী এসে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত) দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ১৩২ জন। এর মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদের সাথে তাদেরও চিকিৎসা চলছে। তারা হচ্ছেন, শফিকুল ইসলাম (৪৫), স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩৫), সন্তান হোসাইন (৮), শেফালী (১২), শেফা (৫)। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুমি, মায়মনা, রেহেনা, শাফওয়ান, জিসান, হোসাইন, নিশাত, জেসমিন, শফিকুল, ফয়সাল, সিফাত, আমিনা সহ অনেকের সাথে কথা হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ¦র, সর্দি-কাশি সহ অন্যান্য। এব্যাপারে কথা হয়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহসান হাবীব ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ বিপুল মিয়া সহ অন্যান্যদের সাথে। তারা ডায়রিয়া রোগের প্রকোপের বিষয়টি স্বীকার করে নয়াদিগন্তকে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন, খোলা- বাসী খাবার খাওয়া, সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজা পোড়া বাসি খাবার খাওয়ায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা আরো বলেন রোজার দিনে হাটে বাজারে দোকানের সামনে রাস্তার পাশে খোলা স্থানে ইফতার সামগ্রী বেচা বিক্রির কুফলের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এসব বন্ধ ও সচেতনতা খুব জরুরি। এক উত্তরে তারা জানান, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। স্যালাইন সহ ঔষধপত্রের তেমন সংকট নেই।
দেওয়ানগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ একই পরিবারের ৫ জন সহ ২৪ ঘন্টায় ১৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি
