স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে আমরা প্রকাশ্যে পাশাপাশি বসে ইফতারও করতে পারি নাই – শামীম আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার রোষাণলে পড়ে আমরা দীর্ঘদিন এইরকম প্রকাশ্যে সাচ্ছন্দভাবে রাজপথে পাশাপাশি কোন জায়গায় ইফতার করতে পারি নাই। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পালানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে তার মেধা ও কৌশলের কারণে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে সকল বেড়াজাল ভেদ করে ভারতের তাবেদারি ষড়যন্ত্রকে লাথি মেরে ষড়যন্ত্রকারী শেখ হাসিনার পতন ঘটানো হয়েছে।
১১ মার্চ মঙ্গলবার জামালপুর শহরের সকালবাজার তালুকদার মার্কেট প্রাঙ্গণে জামালপুর জেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল নেতৃবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধার করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীনভাবে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। উনাকেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল। বাংলাদেশের মা ও মাটির মানুষ, তারে বছরের পর বছর এমনভাবে কারাগারে রাখা হয়েছিল। উনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। উনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসা করতে যেতে দেওয়া হয় নাই। বাংলাদেশে জোর করে উনাকে আটকে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আমাদের নেত্রী উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য বিদেশে যেতে পেরেছেন।
বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ বলেন, বলেন, আমরা আজ এই ইফতার মাহফিল থেকে মনেপ্রাণে আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। যেন আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে এনে দেয়। আগামী দিনের বিএনপির কান্ডারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। নির্বাসিত করা হয়েছে। উনার নামে মিথ্যা মামলা হওয়ার কারণে উনি আসতে পারেন নাই। আজকে সময় এসে গেছে। উনি বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন ইনশাল্লাহ।
শামীম আহমেদ বলেন, মির্জা আজম, ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, ছানোয়ার হোসেন ছানু এই তিন ব্যক্তি কিরকম ছিলেন। তাদের ভূমিকা কিন্তু এখনও আছে। তারা বাড়ি করেছে। টাকা করেছে। টেন্ডার বাজি করেছে। বাসস্ট্যান্ড, বালুঘাট বলেন সকল কিছুকে তারা গ্রাস করেছেন। আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের হাতে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছি। যেভাবে মামলা, হামলা খেয়েছি। অনেক নেতৃবৃন্দ বছরের পর বছর কারাগারে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, নিয়তির কি পরিহাস দেখেন। তারা আজকে বাংলাদেশ ছাড়া। থাকলেও দু’য়েকজন আত্মগোপনে রয়েছেন। এটাই নিয়ম। অত্যাচার করলে ফল ভোগ করতে হয়। তার প্রমাণ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং তার দোসর জামালপুরের মির্জা আজম, ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, ছানোয়ার হোসেন ছানুদের এখন দেখেন কি অবস্থা। আমরা আজকে মুক্ত হয়েছি। আরও মুক্ত হবো।
শামীম আহমেদ আরও বলেন, বর্তমান সরকার যেন অচিরেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি কথাই বলেছেন, যেই নির্বাচিত হোক। যে সরকারই আসুক। তাকে অবশ্যই অভিনন্দন জানানো হবে। অবশ্যই তাদের গ্রহণ করে নিবে বাংলার জনগণ।
জামালপুর জেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি প্রসঙ্গে শামীম আহমেদ বলেন, জামালপুর জেলা বিএনপি নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিনসয়ের সাথে অনুরোধ করবো। সকল ভেদাভেদ বাদ দিয়ে। খন্ড খন্ড বিএনপিকে বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপিআমরা পাবো।
আলোচনা সভা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনাসহ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সকাল বাজার বড় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আব্দুল্লাহ।
জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও শহর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহেল রানা খান, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার মন্ডল বাবুল, জেলা মৎস্যজীবীদলের সাবেক সভাপতি এ কে এম নওশাদ হোসেন শাহীন, জেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণ চন্দ্র মন্ডল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান জিলানী, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য ইতি রানী সরকার, জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি মনোয়ার হোসেন লিয়ন, মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মহব্বত হোসেন, সরিষাবাড়ী কলেজের সাবেক ভিপি শহিদুল্লাহ শহীদ, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আজম খান, শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ মামুন, সদর থানা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, কৃষকদল নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, শহর যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক, যুবদল নেতা আবু আশিক মল্লিক বাবু, রাশেদুল ইসলাম রনি, খাইরুল ইসলাম লিয়ন, মো. শহিদুল ইসলাম শিল্পী, বাবু চন্দ্র গোয়ালা, ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ, খোকন, মো. রুকন, সবুজ, গোলাম রব্বানী জনি, বুলবুল আহম্মেদ হৃদয়, ছামিরুল ইসলাম মানিক, সাইফুল ইসলাম রবিন, মেরাজুল ইসলাম মৃদুল, আরিফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, এমদাদুল, রিগ্যান, আকাশ, জিতু, সুমন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রানা ম্যানশন, কামরুল হাসান কাবুল, আবু তালহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন সরকার, তথ্য ও গবেষণা সহ-সম্পাদক মোর্শেদ আলম, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখার আলী শাহ ফকির মুরাদ, ঢাকা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক রাজা সরকার, জিয়া সাইবার ফোর্সের জেলা শাখার সভাপতি শুভ পাঠান, জিয়া সাইবার ফোর্সের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব ইখতিয়ার হোসেন সাগর, মেলান্দহ উপজেলা মৎস্যজীবীদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা জাসাস এর সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।