মানচিত্র থেকে ছোট হয়ে আসছে দেওয়ানগঞ্জ

দেওয়ানগঞ্জ সংবাদদাতা : অবিশ^াস্য হলেও সত্য, অতীত পাকিস্তান আমল থেকে দেওয়ানগঞ্জের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদী অনবরত ভেঙ্গে আসছে। গায়কের কন্ঠে আছে, নদীর এপার ভাঙে ওপার গড়ে এইতো নদীর খেলা। প্রবীনদের মতে, ১৯৬৯ সাল থেকে দেওয়ানগঞ্জের পশ্চিম এলাকা থেকে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ৭০-৭১ সালে ভাঙ্গনের তীব্রতা বহুগুণে বেড়ে যায়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেওয়ানগঞ্জের পশ্চিমে ডাকের চর, ভাটিয়াপাড়া, মন্নেরচর, পশ্চিম ফারাজিপাড়া, গমের চর, চর বাহাদুরাবাদ, পশ্চিম ঝালুরচর, সবুজপুর, বাছেদপুরের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধকালে মৃত্যুপুরী বলে পরিচিত বাহাদুরাবাদ ঘাট ছিল দেওয়ানগঞ্জ থানার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের গমের চর গ্রামে। ঐ গ্রামের দক্ষিণে ফারাজীপাড়া, দক্ষিণ পশ্চিমে ভাটিয়াপাড়া এবং উত্তরে অবস্থান পুরোনো বাহাদুরাবাদ, ব্রিটিশ আমলে বিশ^ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চাচা বলে পরিচিত মহারাজা প্রদ্যুৎ কুমার ঠাকুরের বিশাল জমিদারী পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিভাগীয় এষ্ট্রেট ছিল, তা ছিল এ বাহাদুরাবাদে। বাহাদুরাবাদ খুব নামকরা একটি প্রাচীন ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। এখান থেকে নৌপথে ভারতের মুম্বাই, কলকাতা, দিল্লি সহ বড় বড় শহরে এবং পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ সব নৌ বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্য চালু ছিল। বাহাদুরাবাদে সে সময় বিশাল বিশাল গুদাম ছিল। হাজার হাজার নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ ভিড়তো ও যেতো এখান থেকে। ঐ বিখ্যাত বাহাদুরাবাদও করাল গ্লাসী যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। সেই সাথে মিলিন, অতীত ঐতিহ্য ইতিহাস। বাহাদুরাবাদ ঘাটের পূর্বস্থিত বাহাদুরাবাদ কাচারী, বাহাদুরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেলওয়ে আপার স্টেশন, আখক্রয় কেন্দ্র, স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বহু প্রাচীন স্থাপনা যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। সেই ৭০ দশক থেকে যমুনার অবিরাম ভাঙ্গন কখনোই থেমে থাকেনি। থামানো হয়নি ভাঙ্গন, চলছেই। ১৯৭০-৭৬ সাল যমুনার ভাঙ্গনের তীব্রতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধিপায়। দিন যায়। মাস। বছর। দশক, যুগ। থামেনি কখনই নদী ভাঙ্গন। ৯০ এর দশক থেকে ২০২৫ সাল এখন। ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। থামেনি ভাঙ্গন। কোনো কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা আজও হয়নি। যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার জানামতে দেশে কী এমন কোনো উপজেলা আছে, যে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে? তিনি হয়তো উত্তর দিবেন, না। এমন কোনো উপজেলা আমার দেখাতে নেই এই দেওয়ানগঞ্জ ব্যতীত। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এই থানা ছিল জামালপুর মহকুমাধীন এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলাধীন। পরবর্তীতে জামালপুর মহকুমা ৭০ দশকের শেষ দিকে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলাও কয়েকটি জেলায় বিন্যস্ত হয়েছে। ৬০/৭০ দশকে ব্রহ্মপুত্র নদ খর¯্রােতা ছিল। সে সময় ১৯১৯ সালে বৃটিশ আমলে দেওয়ানগঞ্জ কো-অপারেটিভ হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীতে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। করালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে বিলীন হবার দশা হয়েছিল এই ঐহিত্যবাহী স্কুলটির। স্কুলের পূর্বাংশ অনেকখানি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। পুরো দেওয়ানগঞ্জ সদর ভাঙ্গনে বিলীন হবার আশঙ্কা দেখা দিলে, সে সময়কার সরকার ভাঙ্গন রোধে সজাগ হয়। কংক্রিটের ব্লক ফেলে এবং পূর্বাংশে একটি বাধ নির্মাণ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ¯্রােতের মুখ পাল্টে দেওয়াতে কোনো রকম রক্ষা পায় দেওয়ানগঞ্জ। দেওয়ানগঞ্জ বাজার, দেওয়ানগঞ্জ থানা সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা টিকে যায়। নিউ জেনারেশনের অনেকেই হয়তো জানেনা, দেওয়ানগঞ্জ বাজারের পূর্বাংশের বৃহদাংশ ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যা দেওয়ানগঞ্জ থানার সামনে হ্রদ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সে সময়ে কোনো রকমে রক্ষা পায় স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ অনেক স্থাপনা। ২০২৫ সাল। এখনও ভাঙ্গন যমুনায়, ব্রহ্মপুত্রে। কোথায় নেই ভাঙ্গন? দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে, উপজেলার ৮ ইউনিয়ন যথাক্রমে দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতীভাঙ্গা, পাররামরামপুর, চর আমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বছর জুড়েই চলে ভাঙ্গন। অসংখ্য মানুষ হয় ভূমিহীন, আশ্রয়হীন, বেকার, নিঃস্ব, অসহায়। প্রতি বছর বন্যার শুরুতেই, বন্যাকালে এবং বন্যার পানি কমে যাওয়ার সময় ভাঙ্গনের মাত্রা বেড়ে যায়। একের পর এক বিলীন হয় বাড়ী ঘর, পথ-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নানা স্থাপনা ও জনপদ। এপ্রিল ২০২৫ শুরু থেকে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয় উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের চর ডাকাতিয়পাড়া গ্রাম সহ উত্তরে খোলাবাড়ী, দক্ষিণে বরখাল, ফুটানি বাজার সহ অন্ততঃ ৭ কিলোমিটার জুড়ে। ভাঙ্গনের মুখে পড়ে সব হারায় শতশত পরিবার। চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নদীর দুরুত্ব মাত্র কয়েক গজ। যে কোনো মুহুর্তে সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নদীর গর্ভে বিলীন হতে পারে। এছাড়া চরম হুমকির মুখে পড়ে মন্ডলবাজার, টাকিমারী, কাজলা পাড়া, বরখাল, মাঝিপাড়া, ফারাজিপাড়া, নয়াগ্রাম, চর বাহাদুরাবাদ, হাজারী গ্রাম সহ বহু গ্রাম জনপদ। এদিকে লক্ষ করে ৮ এপ্রিল ২০২৫ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমান ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন ও ভাঙ্গন স্থানে ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করে, ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পুরো এলাকাকে রক্ষার চেষ্টা করেন। ডাম্পিং কাজ অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গন পুরোপুরি রোধের চেষ্টা চলছে। ডাম্পিং কাজ উদ্বোধন কালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ রশিদ সাদা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সাজু, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আতাউর রহমান আতা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপি নেতা রেজাউল করিম বাবলু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এযাবৎ সেখানকার অসংখ্য পরিবার ভিটামাটি জমি জমা হারিয়ে কেউ অন্যের বাড়ী ঘরে, সরকারি বাধ রাস্তার ধারে পরিবার পরিজন সহ আশ্রয় নিয়েছে। বহু মানুষ দূরদুরান্তে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। চরাঞ্চল ও নদী পাড়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে অনেক পরিবার। বন্যা কালে শুকনো স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেয়, বন্যার পরে ফের বাসা বাধে গিয়ে চরে বা নদী পাড়ে। এক সময় এমন প্রবাদ হয়েছিল, ঢাকা চট্টগ্রাম সহ বড় বড় শহরে ভাসমান মানুষ, বাসা বাড়ীর ঝি, রিকসা ভ্যান চালক, কুলি মজুরদের অধিকাংশ দেওয়ানগঞ্জ তথা জামালপুর জেলার নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষ। নদী ভাঙ্গন বিষয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং সামান্য অবদানও। ৮০ দশকের মাঝামাঝি সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম প্রকাশিত ও প্রচারিত অসংখ্য বড় আকারের পোস্টার বিস্তর ছেটানো হয়েছিল। সেখানে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ দাবী সহ অনেক দাবী উত্থাপন করা হয়েছিল। এরও পরে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলা কে ভাঙ্গন থেকে রক্ষাকল্পে একটি নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ঐ কমিটিতে আমি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছি। সে সময় প্রেস কনফারেন্স, পোস্টারিং, লিফলেটিং, বিক্ষোভ মিছিল সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার প্রকাশ হয়েছে। নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। প্রশাসনের নিকট স্মারক লিপি প্রদান সহ এমপি মন্ত্রীদের কাছে দাবী দাওয়া উত্থাপন করা হয়েছে। তা সত্বেও আজও ভাঙ্গন প্রতিরোধে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যুগের পর যুগ আমলা ও জন প্রতিনিধিরা কতো যে আশ^াস দিয়েছে ভাঙ্গন রোধের, তার কোনো হিসাব নেই। অবশ্য সময়ে সময়ে কিছু কাজও হয়েছে যা জন আকাঙ্কা পুরণ করতে পারেনি। চুকাইবাড়ী ইউনিয়নে ফুটানি বাজারে ভাঙ্গন রোধে কয়েকশ কোটি টাকার কাজ হলেও দেওয়ানগঞ্জ থানার বৃহদাংশ অরক্ষিত রয়েছে। ফুটানি বাজারের উত্তরে এক দেড় কিমি দূরে খায়রুন সুন্দরী খ্যাত বরখাল গ্রাম, খানপাড়া সহ বেশকটি গ্রামে এখনও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে,৮০ র দশকে পশ্চিম জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদীর ভাংগন প্রতিরোধে হরীর ধরা বাধ নামে একটি বাধ নির্মিত হয়েছিল। যার দৈর্ঘ ছিলো প্রায় ২০ কিমি।সুবিধা পাচ্ছিল বহু মানুষ। রক্ষা পেয়েছিল বন্যা ও ভাংগন থেকে মানুষ জন।কিন্তু পরবর্তীতে বাধটি বিলীন হয়ে যায়।এক দিকে বন্যা ও নদীর ভাংগনে ভিটে মাটি হারা মানুষরা ঘরবাড়ি তোলে বাধে,অপর দিকে আশেপাশের মানুষ দিনের পর দিন কাটে বাধ। সব শেষ যমুনা গ্রাস করে বাধের অধিকাংশ।সেই থেকে প্রতিবছর বন্যার শুরুতেই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ও ইসলামপুর উপজেলায় পানি ঢুকে যায়।কষ্টের শেষ থাকেনা মানুষের। এখন যমুনার অবস্থান দেওয়ানগঞ্জ সদরের খুব কাছে। অনেক স্থানে পৌর সভা ঘেষে। পৌরসভা সহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নানা স্থানে অব্যাহত রয়েছে ভাংগন।ক্রমেই ছোট হয়ে যাচ্ছে , দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র।উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের ৩০ থেকে ৭০ ভাগ ভুমি বিলুপ্ত হয়ে গেছে যমুনা ব্রহ্মপুত্রে। অবশিষ্ট এলাকা চরম হুমকির মুখে। ফি বছর বন্যার প্রারম্ভেই নিমজ্জিত হয় উপজেলার অধিকাংশ এলাকা সহ পৌর এলাকা।,অফিসাদি,পথ ঘাট,জনপদ হাট বাজার ফসল, বাড়িঘর ডুবে পানিতে।সরকারি কাজ কর্ম ও এলাকার উন্নয়ন কাজে দারুন অসুবিধা দেখা দেয়।এ অবস্থা চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। প্রায় ৫ দশক ধরে অনবরত ভেঙ্গেই আসছে নদ নদী।এখন অবধি কত আশ্বাস,প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন,এম পি মন্ত্রী আমলা, জন প্রতিনিধি। কিন্তু কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।শুধুমাত্র সময়ে সময়ে লোক দেখানো কিছু কাজ হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ সদরের খুব কাছে নদী আসায় চরম হুমকিতে পড়েছে,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ,রেল স্টেশন, জিল জিলবাংলা সুগারমিলস,পৌরসভা,স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ অনেক প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো। এলাকাবাসী দশকের পর দশক ধরে দাবি জানিয়ে আসছে নদ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের।তারা সাহায্য চান না।ভিক্ষা চান না।চান শুধু নদীর ভাঙ্ন রোধ। আমি কয়েক দশক ধরে সাংবাদিকতা করে আসছি।এ জীবনে কত যে এসব নিয়ে লিখেছি,ভুমিকা রেখেছি, তার ইয়ত্তা নেই। পশ্চিমে যমুনা,পুর্বে ব্রম্মপুত্র।মাঝখানে দেওয়ানগঞ্জ। দেওয়ানগঞ্জ বাজার, থানার সামনেই ব্রাহ্মপুত্র।এক কালের তীব্র স্রোতস্বিনী নদ। এখন অনেকের ই প্রশ্ন,আর কতকাল পর নদনদীর ভাংগন প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা করা হবে? লক্ষ মানুষের কান্না,বেদনা, কষ্ট দুঃখ ব্যথা বেদনার কথা কানে পৌছবে প্রশাসনের ? আর কত ক্ষতি হলে এ বিষয় নিয়ে গুরুত্ব দেবে সরকার,প্রশাসন? সদর থেকে নদীর দুরত্ব ছিল এক সময় ২০/২২ কিমি দূরে,সেখানে এ দূরত্ব এখন খুব ই সামান্যে। যা নদীর কাছে কোন দুরত্বই নয়।এ রকম হাজারো প্রশ চলে আসছে,করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।তবু যেন কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাংছেই না। অনেক মনে সংশয়,একদিন কি তবে কালের আবর্তে হারিয়েই যাবে হাজার বছরের প্রাচীন জনপদ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ?