মেলান্দহে ড্রাগন চাষে স্বপ্ন বুনছেন হাতেম ফরাজি

Oplus_131074

মোহাম্মদ আলী : মেলান্দহে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন সৌখিন চাষি হাতেম ফরাজি। খুব একটা লাভের মুখ না দেখলেও হতাশ নন । দেখছেন সম্ভাবনা।
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার শিমুলতলী নিবাসী হাতেম আলী ফরাজি ( ৫৫ )। পেশায় একজন চাকুরীজীবী। স্বপরিবারে থাকেন ঢাকায়। ইউটিউবে ড্রাগন ফলের চাষে সফলতা দেখে বাগান করার শখ জাগে তার মনে। যেই ইচ্ছে সেই কাজ। ৩ বছর আগে তিনি গ্রামের বাড়ির ৮ শতাংশ জায়গায় ৩ হাজার গাছের সমন্বয়ে একটি ড্রাগন ফলের বাগান করেন । ব্যয় হয় ১৫ লাখ টাকা। বাগান করার দেড়বছর পর থেকে ফল বিক্রি শুরু করেছেন। গত দেড়বছরে বিক্রি করেছেন ৭ লাখ টাকা। এই মৌসুমে ফলন আসতে শুরু করেছে। সঠিকমাত্রায় ফলন ও বাজার ভালো হলে এবার লাভের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
বাগান পরিচর্যাকারী টিক্কা মিয়া জানান, ড্রাগন ফল চাষ একটি লাভজনক কৃষি। একটি ড্রাগন ফলের বাগান ১৫ থেকে ২০ বছর বাচে । একটি গাছে ৩০ থেকে ৩৫টি ফল ধরে। এফলে যেমন পুষ্টিগুণ তেমনি রয়েছে বাজারে চাহিদা। কিন্তু, এফলটি যখন নামে তখন আমও নামে। যার কারণে আশানুরূপ মূল্য পাওয়া যায় না। তবে, যা পাওয়া যায় তা অন্য ফসলের তুলনায় মন্দ নয়।
বাগানের মালিক, সৌখিন চাষি হাতেম আলী ফরাজি বলেন, সব চাষে লাভ ক্ষতি রয়েছে। তেমনি ড্রাগন ফল চাষেও লাভ ক্ষতি রয়েছে। নানা রোগ বালাই বৈরী আবহাওয়ায় ড্রাগন ফলের ক্ষতি হয়। শিলাবৃষ্টি ও ছত্রাকের মতো রোগে এফলনের মারাত্বক ক্ষতি হয়। সেমতে, পরিবেশ, প্রকৃতি ও পরিচর্যা অনুকূলে থাকলে এচাষে সফলতা পাওয়া যায়।