মেলান্দহ চেঙ্গাবাইদ খালের উপর ব্রিজ না থাকায় জনদুর্ভোগ

মেলান্দহ সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহে চেঙ্গাবাইদ খালের উপর ব্রিজ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে। পূর্বদিক থেকে নাংলা ইউনিয়নের বরখাল ব্রিজ ঘেষে দক্ষিণ থেকে নলকুড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কি. মি. রাস্তাটিও কাঁচা। পশ্চিমে মাদারগঞ্জের সীমান্তবর্তী মাহমুদপুর ইউনিয়নের রোকনাইপাড়া উরমা ব্রিজ এং খাসিমারা-মাদারগঞ্জ রোড। চেঙ্গাবাইদ খালের ব্রিজ নির্মিত হলে নাংলা এবং মাহমুদপুর ইউনিয়ন ছাড়াও মাদারগঞ্জ অঞ্চলসহ ইসলামপুর অঞ্চলের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন হবে। শিক্ষক নূর নবী ইসলাম বলেন-মুরুব্বিদের কাছে শুনেছি, ব্রিটিশ আমলে এই রাস্তার অনেক গুরুত্ব ছিল। দেশ স্বাধীনের পরপর ছাত্র-জনতার স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে প্রশস্ত করা হয়। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এই রাস্তায় প্রতিদিন ৫/৭ সহ¯্রাধিক মানুষের চলাচল করে। এই এলাকায় আছে মাদ্রাসা, প্রাইমারি-হাই স্কুল, কেজি স্কুল, ব্র্যাক স্কুল, কারিগরিসহ দু’টি কলেজ, গুচ্ছগ্রাম ছাড়াও ১৫/২০টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নলকুড়ি বাজারের সাথে এই রাস্তার সংযোগ হলে এনআরসি, নলসিয়া বাজার, মাহমুদপুর বাজার, ঘুঘুমারি, মইষবাথান বাজার, শাহিন বাজার, মেলান্দহ বাজার এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে। গৃহিনী রিনা বেগম জানান-বর্ষাকালে শিশুদের চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। শিশুদের কাঁধে করে পারাপার করাতে হয়। আসর উদ্দিন মেম্বার জানান-এখান থেকে মেলান্দহ সদরের দূরত্ব প্রায় ৬/৭ কি. মি.। বিকল্প রাস্তায় ঘুরে চলাচল করতে হয় প্রায় ১৫/১৬ কি: মি:। রাস্তায় মোটরসাইকেল, রিক্সাভ্যান এমনকি সাইকেলও চলাচল করতে পারে না। হালকা বৃষ্টিতেই চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে। কৃষিপণ্য সরবরাহের দুর্গতি আরো করুন। মুমূর্ষু রোগি কিংবা প্রসূতির চিকিৎসার জন্য চৌকিতে তুলে ডাক্তারের কাছে নিতে হয়। দ্রুত চিকিৎসা না পেয়ে রোগিও মারা যায়। প্রবাসি নাদু মিয়া, জানান-দুর্গম এলাকায় প্রায় দু’শতাধিক প্রবাসি আছেন। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় এই রাস্তার মাঝখানে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন চেঙ্গাবাইদ নামক স্থানে ভাঙ্গনের ফলে খালের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই দুর্ভোগ বাড়তে থাকে। কৃষক রহমত আলী ও ডা. মিজানুর রহমান জানান-আগে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি ছিল। ২০০১ সালের দিকে আমরা এসডিএফ প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি কেটে চলাচলের উপযোগি করে তুলি। এরপর আর কোনদিন রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। মাহমুদপুর এবং নাংলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অবহেলিত এলাকার মধ্যে এটি অন্যতম। নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ কিসমত পাশা জানান-আমি সরেজমিনে এলাকাবাসির দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করেছি। ইউনিয়নের পরিষদের স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। এলজিইডির বড় বাজেট দরকার। এলাকাবাসির দুর্ভোগ লাগবে চলতি বর্ষায় একটি নৌকার ব্যবস্থা করে দিব। একই সাথে তিনি নলকুড়ি-মেলান্দহ সংযোগ স্থল বরখাল ব্রিজের ধ্বসে যাওয়া এপ্রোচ রক্ষায় এলজিইডির সুনজর কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শুভাশীষ রায় জানিয়েছেন-অবহেলিত এমন বেশ কিছু রাস্তা-ঘাট এবং ব্রিজ-কালভার্টের জন্য প্রস্তাবনা আছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।