মোহাম্মদ আলী : মেলান্দহ মাদারদহের উপর তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত ও হাটবাজার করে ৩ গ্রামের মানুষ। কিন্তু, সাঁকোটি এখন সচল নয়। নড়বড়ে, ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁশ ভেঙ্গে পড়ছে, বাধঁনগুলো পঁচে গেছে। দিনের বেলা কোনো রকম ভয়ে ভয়ে পাড় হওয়া গেলেও রাতের আধারে পাড় হওয়া হয়ে উঠে মারাত্বক বিপদজনক! বর্তমানে এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
এমন দাবি প্রক্ষিতে গেল সপ্তাহে সাঁকোটি পরিদর্শন করেছেন, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
জানা যায়, ২০০৮ সালে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের অন্তর্গত চিনিতোলা গ্রামের মাদারদহের উপর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে চিনিতোলা, হরিপুর, পাথালিয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ গমনাগমনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠে সাঁকোটি। এরমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বেশ কয়েকবার মেরামত করা হলেও বর্তমানে সাঁকোটির নাজুক অবস্থা। এর উপর দিয়ে যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
এমতাবস্থায় কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলের এ দুর্ভোগ নিরসনে সাঁকোটির অবকাঠামো পরিবর্তন করে এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এমন দাবির প্রেক্ষিতে গেল সপ্তাহে বাঁশের সাঁকোটি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, এখানে একটি ফুটব্রিজ নির্মাণ করা যায় কি? না তা খতিয়ে দেখতে আমি পিআইওকে নির্দেশ দিয়েছি।
এব্যাপারে নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কিসমত পাশা বলেন, চিনিতোলা গ্রামের সেই বাঁশের সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের সে দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। কিন্তু, আজোবদি সে দাবি পূরণ হয়নি। এবার হয় কি না? তা-ই দেখার বিষয়।
৩ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরষা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো
