নোয়ারপাড়া কাবিটা প্রকল্পের রাস্তায় হাঁটুপানি

মোহাম্মদ আলী : যে রাস্তা থাকার কথা সচল, মসৃণ ও দৃষ্টি নন্দন। সে রাস্তার কোথাও গর্ত, কোথাও কাদাকার, আবার কোথাও হাটুপানি! অগত্যা এর মধ্যে দিয়েই চলাচল করছেন ওই এলাকার নারী পুরুষ, আবাল বৃদ্ধা। নোংরা হচ্ছে কাপড়চোপড় যাতায়াতে পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ! অথচ রাস্তাটি পূণঃ নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ লক্ষাধিক টাকা !
“তারতাপাড়া সাহেববাজার থেকে মানিকের বাড়ি পর্যন্ত” রাস্তাটি ইসলামপুর উপজেলাধীন নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তা। ২০২৪/২৫ অর্থবছরে রাস্তাটির পূণঃ নির্মাণের জন্য কাবিটা প্রকল্প হতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এলেও এখনো কাজে হাত দেয়নি প্রকল্প সভাপতি। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মারাত্বক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে গর্ত, কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও কাদায় ডুবে যায় পা। অগত্যা এরমধ্যেই দিয়ে চলাচল করছে নারী পুরুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
এলাকাবাসী জানান , গত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হওয়া নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দায়ে পলাতক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের সহচর, মোঃ রোমান হাসান নির্বাচিত হওয়ার পর তারতাপাড়ায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। এমনকি কি এগ্রামের কে কোথায় কেমন আছেন তাও কখনো খোঁজ নেননি চেয়ারম্যান মেম্বাররা। এমতবস্থায় এর আগে এলাকাবাসী তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পঞ্চাশ ১শ টাকা করে চাঁদা দিয়ে বেশ কয়েকবার রাস্তাটি মেরামত করেছিলেন। কিন্তু, এবার সে উদ্যোগ নিতে না পারায় রাস্তাটি নিয়ে মারাত্বক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
শুধু তারতাপাড়া নয়, ইউনিয়নের কাবিটা প্রকল্পের অন্যান্য কাজগুলোতেও সন্তুষ্ট নন প্রকল্প এলাকার মানুষ। তাদের অভিযোগ, প্রকল্প সভাপতিরা বরাবরের ন্যায় এবারও নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ অর্থ আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন। তারতাপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ ওয়াজেদ জানান, প্রকল্পটি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। চেয়ারম্যান কোন প্রকল্প কখন কোথায় কিভাবে করেন সেটা তিনিই ভালো জানেন। আমরা কিছু জানি না। এব্যাপারে নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রোমান হাসান রাস্তাটির কাজ না ধরার কথা স্বীকার করে জানান, কিছুদিনের মধ্যে কাজ ধরা হবে।